TRENDING:

সন্ধে নামলেই শুরু হয়ে যায় ওদের খেলা, ভয়ে রাস্তায় নামেন না কেউ! অফিসপাড়া অন্ধকার

Last Updated:

দুই ব্লকের গভীর জঙ্গলে থাকা ওই সমস্ত হিংস্র জীবজন্তুর আনাগোনা বর্তমানে বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকায় পথবাতির দাবি গ্রামবাসীদের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: সন্ধ্যা নামতেই দুর্গাপুর লাগোয়া এই গ্রামে শুরু হয় নেকড়ে, হেড়োল ও শেয়াল সহ বিষধর সাপের আনাগোনা। শিকার হচ্ছে গৃহপালিত হাঁস, মুরগী, ছাগল সহ গবাদিপশু। আতঙ্কে দিন কাটান দুর্গাপুর -ফরিদপুর ব্লকের বাঁশিয়া গ্রামের অফিস পাড়ার বাসিন্দারা। এলাকার নাম অফিস পাড়া হলেও সন্ধ্যা নামতেই গোটা এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই শুরু হয় ওই হিংস্র জীবজন্তুর দাপট।
advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের চারপাশ ঘন জঙ্গলে ভরা। পাশেই রয়েছে নাচন ড্যাম। জঙ্গল লাগোয়া বিশাল জলাশয় থাকায় জঙ্গলে থাকা ওই হিংস্র জীবজন্তু জল পান করতে আসে ওই এলাকায়। ড্যাম লাগোয়া রয়েছে বাশিয়া গ্রামের অফিস পাড়া। ঘন জঙ্গলের মাঝে অফিস পাড়ায় ১৮ টি আদিবাসী পরিবার বসবাস করে। প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কয়েক বছরে ব্যপক  উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। একসময় ওই পাড়া ছিল বিদ্যুৎহীন। বর্তমানে পরিবারগুলির মিলেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

advertisement

আরও পড়ুন : দু’মুঠো ভাতের লড়াইয়ে বাজি রাখছেন জীবনটা! বজ্রাঘাতে আবার মৃত্যু কৃষকের

পাড়ার ভেতরের অলিগলি রাস্তাঘাট কংক্রিটের করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ পানীয়জলের পরিষেবা চালু করেছে। মিলেছে শৌচালয়। নিত্য জীবনযাপনে অভাব অভিযোগ নেই বললেই চলে। তবে এখন সব সুযোগ সুবিধা মিললেও পাড়ায় বসবাসের ক্ষেত্রে আতঙ্ক বেড়েছে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : জঙ্গলমহলে একনাগাড়ে ‘ডুগ-ডুগ’ শব্দ! এই বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ছাড়া পুজো হয় না মনসার

শিল্পায়নের দূষণ রুখতে ওই এলাকার সরকারি পরিত্যক্ত জমিতে বন দফতর বনানঞ্চল গড়ে তুলেছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ওই বনাঞ্চল কাঁকসা ও আউশগ্রাম ব্লকের জঙ্গলমহলের সঙ্গে যোগ হয়েছে। ওই দুই ব্লকের গভীর জঙ্গলে থাকা ওই সমস্ত হিংস্র জীবজন্তুর আনাগোনা বর্তমানে বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। অফিস পাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, আগে কেবল শেয়ালের আনাগোনা ছিল। তাও খুব কম।

advertisement

কিন্তু বর্তমানে উৎপাত ব্যপক হারে বেড়ে গিয়েছে। মূলত, ওই পাড়ার বাসিন্দারা হাঁস, মুরগী ও ছাগল ও  গরু প্রতিপালন করে অর্থ উপার্জন করেন। তাই প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে একাধিক হাঁস, মুরগী ও গরু, ছাগল। তবে রাতে বাড়ির ভেতর থেকে শেয়াল, নেকড়ের দল হাঁস, মুরগী সহ ছাগল, গরু জঙ্গলে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে আর্থিকভাবে  ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে  ওই পাড়ার বাসিন্দারা।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

তাঁদের দাবি, এলাকায় পথবাতি দেওয়া হলে এলাকাটি রাতে অন্ধকারে ডুবে যাবে না। আলোকিত হয়ে থাকবে। তাতে যেমন হিংস্র জীবজন্তু ও সাপখোপের উৎপাত কমবে। তেমনই এলাকার পড়ুয়াদের রাতে যাতায়াতের সুবিধা হবে। আতঙ্ক অনেকটাই কেটে যাবে। স্থানীয়দের আবেদনে পঞ্চায়েত পথবাতি বসানোর আশ্বাস দিয়েছে বলে খবর।

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সন্ধে নামলেই শুরু হয়ে যায় ওদের খেলা, ভয়ে রাস্তায় নামেন না কেউ! অফিসপাড়া অন্ধকার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল