পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ ও দুর্গাপুর থানার পুলিশের যৌথ টিম উপস্থিত ছিল পুরো অভিযানে। স্থানীয়দের একাংশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, এই অভিযানের মাধ্যমে তদন্ত আরও এগিয়ে যাবে এবং ঘটনার পেছনের আসল রহস্য শিগগিরই উন্মোচিত হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ছাত্রীর এক সহপাঠী এবং আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানায় শনিবার গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। অপু বাউরি, ফিরদৌস শেখ এবং শেখ রিয়াজউদ্দিন-সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এই মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রীর বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে। থাকেন দুর্গাপুরে কলেজের হস্টেলে। হস্টেলের কাছে জঙ্গলে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে পুলিশের নজর সিসি ক্যামেরা ফুটেজে।
ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার রাত ৭টা ৫৮-এ ছাত্রী এবং তাঁর সহপাঠীকে ক্যাম্পাস থেকে বেরোতে দেখা যায়। রাত ৮টা বিয়াল্লিশ-এ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে একাই ঢোকেন ছাত্রীর সহপাঠী। কয়েক মিনিট ঘোরাঘুরি করেন। ৮টা ৪৮-এ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান। ৯টা উনত্রিশে ছাত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরেন তাঁর সহপাঠী বন্ধু। রাত ৯টা একত্রিশে গার্লস হোস্টেলে ঢোকেন ছাত্রী। এরপরেই সহপাঠীদের জানায়। থানায় অভিযোগ করে। অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।