বন্দ্য়োপাধ্য়ায় পরিবারের এক সদস্য অজয় বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানান, দীর্ঘ ৪০০ বছর পূর্বে এই এলাকায় দুর্গাপুজো হত না। হঠাৎ পূর্বপুরুষরা স্বপ্নাদেশ পান মন্দির সংলগ্ন একটি বিল, যা বিল ভাগীরথী নদীর সঙ্গে যুক্ত আছে, সেই বিলে পরিবারের সমস্ত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাজনা বাজিয়ে মাকে আহ্বান করে নিয়ে আসা হবে। সেই বিলের সামনে পরিবারের সেই সময়কার সদস্যরা উপস্থিত হয়ে ভক্তি ভরে মাকে আহ্বান করতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরে একটি ঘট সেই জলে ভেসে আসে তার ওপরে একটি জবা ফুল। সেই ঘরটিকে সেখান থেকে ভক্তি ভরে নিয়ে গিয়ে মন্দিরের বেদীর তলেই প্রতিষ্ঠা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নয়ডা নয়, বিভাস অধিকারীর প্রতারণা চক্রের বীজ বপন শুরু হয় বাংলার এই জায়গা থেকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য
মহালয়ার পর প্রতিপদের ঘট ভরা থেকেই শুরু হয় দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রত্যেকদিনই অন্ন ভোগের সঙ্গে মাছের ভোগ দিতে হয়। এমনকি অষ্টমীর দিনও মাছের ভোগ দেওয়া হয় মা দুর্গাকে। এই মন্দিরে মা দেবী মূর্তিতেই পুজিত হন। পূর্বপুরুষ থেকেই সমস্ত নিয়ম-নিষ্ঠা একই রেখে মায়ের পুজো সাড়ম্বর এই চলে আসছে।