বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আনা হয়েছে কুম্ভ থেকে আসা সন্ন্যাসীরা। তাঁদের হাতেই প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা আরতি। ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনে এই আরতি দেখতে ভিড় জমছে প্রতিদিন। আলো-আঁধারির মায়াবী সাজ, ঢাক-ঢোলের তাল আর ভজনের সুরে ভাসছে পুরো এলাকা।
প্রগতি সংঘের উদ্যোগে সাজানো এই থিম পুজো ঘিরে উচ্ছ্বাস এখন তুঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ছুটে আসছেন কাশীর রূপে সজ্জিত বসিরহাট দেখতে। শহরের বুকে একেবারে অন্যরকম আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি করেছে এই থিম, যা দর্শনার্থীদের মনে দীর্ঘদিন ধরে থেকে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কেরালার কথাকলি থেকে বিষ্ণুপুরের মাতৃমন্দির! শহরের পুজোকে টেক্কা দিচ্ছে মেদিনীপুরের ২ মণ্ডপ
প্রতিমা থেকে শুরু করে প্যান্ডেলের প্রতিটি কোণ ঘুরে দেখলেই বোঝা যায় শিল্পীদের নিপুণ হাতের কাজ। আলোকসজ্জায় ফুটে উঠেছে ঘাটের মায়াবী আবহ, সঙ্গে ভক্তিমূলক সঙ্গীত যেন বারবার টেনে নিয়ে যাচ্ছে দর্শকদের। আয়োজন এতটাই বাস্তবসম্মত যে মনে হবে সত্যিই যেন কাশীর ঘাটে দাঁড়িয়ে আছেন। পুজো উপলক্ষে এলাকায় এখন উৎসবের আবহ, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে জমজমাট ভিড়। বারাণসীর রূপে সেজে ওঠা বসিরহাট এই বছর দুর্গোৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।