কেরালার কথাকলি থেকে বিষ্ণুপুরের মাতৃমন্দির! শহরের পুজোকে টেক্কা দিচ্ছে মেদিনীপুরের দুই মণ্ডপ, মিস করবেন না

Last Updated:

Durga Puja 2025: এগরায় কথাকলির আবহ, পটাশপুরে বিষ্ণুপুরের রূপ! দক্ষিণ ভারতের নৃত্য ও বাংলার নিজস্ব স্থাপত্য মিলেমিশে পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গোৎসবকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

+
পানিয়া

পানিয়া সারদাবাড় ও সমন্বয় ক্লাবের দুর্গাপুজো

এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতিঃ পূর্ব মেদিনীপুরে দুর্গোৎসব মানেই নতুনত্ব, সৃজনশীলতা ও থিমের আড়ম্বর। এই বছরও জেলার নানা প্রান্তের ক্লাবগুলি দর্শনার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছে চমকপ্রদ সব ভাবনা। শহরে না গিয়েই গ্রামীণ পরিবেশে উপভোগ করা যাচ্ছে ভারতীয় সংস্কৃতির বহুমুখী রূপ। একদিকে কেরালার ঐতিহ্যবাহী কথাকলি নৃত্যের আবহ, অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের মন্দির স্থাপত্য, সব মিলেমিশে এবারের পুজো আরও রঙিন করে তুলেছে।
এগরা সমন্বয় ক্লাব এবার ৩১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। পুজোর থিম নির্বাচনে এই ক্লাবের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর তাঁরা শহরবাসীকে নতুন কিছু উপহার দেন। এবার তাঁদের ভাবনা ‘নৃত্যের তালে তালে’। সেখানে কেরালার বিখ্যাত কথাকলি নৃত্যকে অভিনব ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীরা যেন কথাকলির রঙ, সুর ও আবেগের জগতে হারিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বন্যা-বিপর্যয় কাটিয়ে ঘাটালে উৎসবের আমেজ! বাড়ি বসেই দেখুন অন্যতম সেরা দুই পুজোর ঝলক, রইল ছবি
প্যান্ডেলের সাজসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে কথাকলি নৃত্যের নানা প্রতীক, যা রঙ-তুলির ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ভিতরে বাজছে কথাকলির বিশেষ সংগীত, যা মুহূর্তেই দর্শকদের নিয়ে যাচ্ছে কেরালার পরিবেশে। মণ্ডপের রঙ-তুলি খেলা ও শিল্পকর্ম দর্শকদের প্রতি মুহূর্তে মুগ্ধ করছে। বিগত কয়েক বছরে জেলার সেরা পুজোর খেতাব জিতে নেওয়া সমন্বয় ক্লাব এবারে আবারও তাঁদের সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে।
advertisement
advertisement
কেরালার রূপের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের পুজো মণ্ডপে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যও উঠে এসেছে। পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের পানিয়া সারদাবাড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবার ৭৯ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে শুরু হওয়া এই দুর্গোৎসব আজ প্রজন্মের পর প্রজন্মের গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা এবার বিষ্ণুপুরের জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের আদলে মণ্ডপ নির্মাণ করেছে। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা এই প্যান্ডেল ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। গ্রামের নির্জন পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা মণ্ডপ যেন এক অপূর্ব সৃষ্টি, যা শহরের পুজোকে টেক্কা দিচ্ছে। চারিদিকে সবুজ মাঠ ও কাঁচা পথঘাটের মাঝখানে এমন এক বিশাল শিল্পকর্ম দাঁড়িয়ে থাকা সত্যিই বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে, এবারের দুর্গোৎসবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুজো মণ্ডপগুলি সাংস্কৃতিক মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। একদিকে দক্ষিণ ভারতের নৃত্য, অন্যদিকে বাংলার নিজস্ব স্থাপত্য, সব মিলেমিশে উৎসবকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। দর্শনার্থীরা শুধু দেবী আরাধনার আনন্দই পাচ্ছেন না, পাশাপাশি উপভোগ করছেন ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতির বহুমাত্রিক পরিচয়। এ এক অভিনব অভিজ্ঞতা, যা নিঃসন্দেহে পুজোর আনন্দকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কেরালার কথাকলি থেকে বিষ্ণুপুরের মাতৃমন্দির! শহরের পুজোকে টেক্কা দিচ্ছে মেদিনীপুরের দুই মণ্ডপ, মিস করবেন না
Next Article
advertisement
Durga Puja Weather Update: নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়
নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কতটা হতে পারে
  • নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন !

  • তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস?

  • বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়

VIEW MORE
advertisement
advertisement