বন্যা-বিপর্যয় কাটিয়ে ঘাটালে উৎসবের আমেজ! বাড়ি বসেই দেখুন অন্যতম সেরা দুই পুজোর ঝলক, রইল ছবি

Last Updated:
Durga Puja in Ghatal: দুর্গাপুজো ঘিরে ঘাটালে সাজো সাজো রব। প্যান্ডেলগুলি দর্শকদের ভিড়ে পরিপূর্ণ, মানুষের মুখে স্পষ্ট আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। বিভিন্ন মণ্ডপের সাজসজ্জা ও থিম দর্শকদের আকর্ষণ করেছে। আবহাওয়াও সহায়ক থাকায় উৎসবের রঙ আরও প্রাণবন্ত হয়েছে।
1/6
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার দাসপুরের দরি অযোধ্যা গ্রামে এই বছর ৪৬তম বর্ষের দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের বিশেষ আকর্ষণ 'কন্যা ভ্রূণ বাঁচাও' থিম। নারীশক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এই থিমে একেবারে গ্রামের পরিবেশের সঙ্গে মিশে থাকা সুন্দর চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। (ছবি ও তথ্যঃ মিজানুর রহমান)
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার দাসপুরের দরি অযোধ্যা গ্রামে এই বছর ৪৬তম বর্ষের দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের বিশেষ আকর্ষণ 'কন্যা ভ্রূণ বাঁচাও' থিম। নারীশক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে এই থিমে একেবারে গ্রামের পরিবেশের সঙ্গে মিশে থাকা সুন্দর চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। (ছবি ও তথ্যঃ মিজানুর রহমান)
advertisement
2/6
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য চন্দ্রশেখর মন্ডল জানিয়েছেন, “এটি গ্রামের মধ্যে এক অনন্য থিম। দর্শনার্থীরা যাতে মণ্ডপে এসে ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা পান, সেই দিকেই আমাদের নজর রয়েছে। তাই সকলকে বলব, দরি অযোধ্যার এই মণ্ডপে একবার ঘুরে যেতেই হবে।”
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য চন্দ্রশেখর মন্ডল জানিয়েছেন, “এটি গ্রামের মধ্যে এক অনন্য থিম। দর্শনার্থীরা যাতে মণ্ডপে এসে ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা পান, সেই দিকেই আমাদের নজর রয়েছে। তাই সকলকে বলব, দরি অযোধ্যার এই মণ্ডপে একবার ঘুরে যেতেই হবে।”
advertisement
3/6
মণ্ডপজুড়ে রয়েছে ভিন্ন রকমের শিল্পকলা ও আবহ। আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে সাজসজ্জার প্রতিটি দিকে অভিনবত্বের ছোঁয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে, এই দুর্গোৎসব গ্রামবাসী ও দর্শনার্থীদের জন্য এক অন্য রকম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
মণ্ডপজুড়ে রয়েছে ভিন্ন রকমের শিল্পকলা ও আবহ। আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে সাজসজ্জার প্রতিটি দিকে অভিনবত্বের ছোঁয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে, এই দুর্গোৎসব গ্রামবাসী ও দর্শনার্থীদের জন্য এক অন্য রকম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
advertisement
4/6
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের জাড়া রায় পরিবারের জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজো এবার ২২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। পুজোর সময় জমজমাট হয়ে ওঠে দুর্গা দালান চত্বর। পরিবারের সদস্যরা এই কয়েক দিন আনন্দে মেতে থাকেন। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে আজও পরিবারের মহিলারাই মা দুর্গার ভোগ রান্না করেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের জাড়া রায় পরিবারের জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজো এবার ২২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। পুজোর সময় জমজমাট হয়ে ওঠে দুর্গা দালান চত্বর। পরিবারের সদস্যরা এই কয়েক দিন আনন্দে মেতে থাকেন। প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে আজও পরিবারের মহিলারাই মা দুর্গার ভোগ রান্না করেন।
advertisement
5/6
এই জাড়া জমিদার বাড়িতে তৎকালীন সময়ে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায় এসেছিলেন। যদিও আগের মতো যাত্রাপালা বা বাউল গানের আসর আর বসে না, তবুও ঐতিহ্য বজায় রেখে পুজো হয়ে চলেছে। উল্লেখযোগ্য, এই বাড়িতেই 'অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' সিনেমার শুটিং হয়েছিল। সেখানে জাড়া রায় পরিবারকে কেন্দ্র করে গানও গাওয়া হয়।
এই জাড়া জমিদার বাড়িতে তৎকালীন সময়ে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায় এসেছিলেন। যদিও আগের মতো যাত্রাপালা বা বাউল গানের আসর আর বসে না, তবুও ঐতিহ্য বজায় রেখে পুজো হয়ে চলেছে। উল্লেখযোগ্য, এই বাড়িতেই 'অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' সিনেমার শুটিং হয়েছিল। সেখানে জাড়া রায় পরিবারকে কেন্দ্র করে গানও গাওয়া হয়।
advertisement
6/6
জমিদার রাজীবলোচন রায় ছিলেন রামমোহন রায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরবর্তীতে তিনি বর্ধমান রাজার কাছ থেকে 'রাজা' উপাধি লাভ করেন। তাঁর হাত ধরেই এই রায় পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। আজও তা ঐতিহ্য মেনে চলে আসছে। (ছবি ও তথ্যঃ মিজানুর রহমান)
জমিদার রাজীবলোচন রায় ছিলেন রামমোহন রায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরবর্তীতে তিনি বর্ধমান রাজার কাছ থেকে 'রাজা' উপাধি লাভ করেন। তাঁর হাত ধরেই এই রায় পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। আজও তা ঐতিহ্য মেনে চলে আসছে। (ছবি ও তথ্যঃ মিজানুর রহমান)
advertisement
advertisement
advertisement