মোবাইল ফোনের রমরমা ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পক্ষী সমাজের। নানা জায়গায় মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশানের কারণে চড়াই, ফিঙে, দোয়েল-সহ নানা ধরনের দেশিয় পাখির বংশ বিলুপ্তির পথে। পাশাপাশি এখনও পাখিদের ধরে খাঁচা বন্দি করে রাখার মানসিকতা রয়েছে অনেকেরই। কেউ কেউ আবার পাখি শিকারও করছেন প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে পরিবেশে, বাস্তুতন্ত্রে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মায়ের পুজোয় নারীশক্তির আরাধনা! সাউথের ‘এই’ মণ্ডপে মহিলাদের জীবন সংগ্রামের চিত্র, একবার ঢুঁ মেরে আসুন
তাই পরিবেশ রক্ষার তাগিদে, পাখিদের বাঁচানোর তাগিদে এবার ক্যানিং হাইস্কুল পাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির নতুন মণ্ডপ ভাবনা ‘উড়তে মোদের মানা’। নানা ধরনের পাখির বাসা দিয়ে মণ্ডপ সজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি কীভাবে মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশানে পাখি জগতের ক্ষতি হচ্ছে সেটা যেমন তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে, তেমনই পাখি শিকারের নানা চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। মা দুর্গাকেও এখানে পাখিদের দেবী রূপে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
পুজো কমিটির সম্পাদক অরিত্র বসু বলেন, ‘পরিবেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, কর্তব্য। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও নতুন এক সামাজিক বার্তা দিতে এই থিমকে বেছে নিয়েছি আমরা। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে অপরূপ প্রতিমা সকল দর্শককে আনন্দ যেমন দেবে তেমনই দেবে পরিবেশ রক্ষার উৎসাহ’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র থিম করে মানুষকে বার্তা দেওয়া নয়, আমরা সমস্ত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে পক্ষী সমাজকে রক্ষার বার্তা দেব মণ্ডপে। সকলেই যাতে নিজের নিজের বাড়ির ছাদে, উঠানে পাখিদের জন্য সামান্য খাবার, জল রাখেন সেই অনুরোধও করবো’। কমিটির সহ সভাপতি অমিতাভ ঘোষ বলেন, ‘আগে যত পাখি আমরা আমাদের আশপাশে দেখতে পেতাম এখন তা পাই না। যদি সকলে মিলে সচেতন হই তাহলে আবার পাখিরা আমাদের মধ্যে ফিরে আসবে। তাই এই থিমের মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছি আমরা’।