বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আর্টস বিল্ডিংয়ের বিপরীতের পুকুর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় অনামিকাকে উদ্ধার করেন সহপাঠী ও নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিংলটে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানস্থলের উল্টোদিকেই ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুর থেকে মেলে অনামিকার দেহ। ঘটনার খবর পৌঁছনোর পর থেকেই এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীদের চোখেও জল।
advertisement
কীভাবে এমন মর্মান্তিক পরিণতি? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ঝিলে পড়ে গেলেন ছাত্রী? রাত পর্যন্ত কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর অনুষ্ঠান চলছিল, তার অনুমতি ছিল কিনা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মদের আসর বসেছিল, ঘটনাস্থলের কাছ থেকেও উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল, পুলিশ সূত্রে খবর। তবে কী কোনওভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই ছাত্রী? উঠছে সেই প্রশ্নও।
স্থানীয়দের কথায়, খুব ভাল পরিবার। কখনও নেশা করতে দেখা যায়নি। দেখা হলেই হাসিমুখে কথা বলতেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে। তবে এই মৃত্যুর ঘটনায় আসল সত্য সামনে আসুক এখন সেটাই চাইছে নিমতার বাসিন্দারা। তাদের পরিচিত মিষ্টু (কলেজ ছাত্রীর) এমন মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউ। যদিও পরিবারের তরফে এখনও মেলেনি কোনও প্রতিক্রিয়া। বাবা শুধু জানিয়েছেন, ‘আমরা কোনও অভিযোগ করিনি, যা করার পুলিশ করবে, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আমি বলতে পারব না কীভাবে হল! আমি কি স্পটে ছিলাম?’ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশ্যে আসবে।