সোমবার প্রতিপদের সকালেই মন্দির থেকে ঘোড়ায় টানা সুসজ্জিত গাড়িতে মা সর্বমঙ্গলার রুপোর কলস নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় ছিল ঢাক-সহ বিভিন্ন বাজনা। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শোভাযাত্রা বর্ধমানের কৃষ্ণসায়রে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে ঘট জলপূর্ণ করেন। সুসজ্জিত ছাতার তলায় সেই ঘটে জল ভরার পর মন্দিরে নিয়ে এসে স্থাপন করা হয়।
advertisement
প্রতিবারই এই শোভাযাত্রায় শহরের বাসিন্দারা অংশ নেন। এবার তাদের উপস্থিতি ছিল আরও বেশি। ছিলেন বিশিষ্টরাও। এদিনের এই ঘট স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, ছিলেন বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার, ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন-সহ বিশিষ্টরা। মন্দিরে ঘট স্থাপনের পর প্রদীপ জ্বালিয়ে শারদীয়া দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হয়।
মা সর্বমঙ্গলা অষ্টাদশভূজা সিংহ বাহিনী অসুর দলনী। তাঁর কষ্টিপাথরের মূর্তি কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এখানে রাজ আমলের প্রথা মেনে নবরাত্রি পুজো হয়। আজ থেকে শুরু হল চণ্ডীপাঠ। পুজোর সূচনা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কী বীভৎস! বৃদ্ধার গলার হার ছিনতাই, তারপরেই সেই নৃশংস ঘটনা... বর্ধমানে ভয়ে কাঁটা আমজনতা
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা। বর্ধমানের বাসিন্দারা যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে মা সর্বমঙ্গলার পুজো দেন। এই পুজো শুধু বর্ধমানের নয়, মা সর্বমঙ্গলা রাঢ়বঙ্গের দেবী। তাই তার আরেক নাম রাঢ়েশ্বরী। রাজ আমল থেকেই এই পুজোর নির্ঘণ্ট মেনেই রাঢ় বঙ্গের সব পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন আগে এখানে কামানের শব্দ শুনে অন্যসব পুজোর সন্ধিপুজো অনুষ্ঠিত হতো। একটি দুর্ঘটনায় কামান ফেটে যায়। তারপর থেকে তোপ দাগা বন্ধ রয়েছে। তবে এখানকার নির্ঘণ্ট মেনেই রাঢ়বঙ্গের বাকি পুজোগুলি অনুষ্ঠিত হয়।
Saradindu Ghosh