মল্লিকপুরের বাসিন্দা রত্নার এই পুজোর সঙ্গে যোগ বহু বছরের। এবারের থিমে আছে বিদেশি ছোঁয়া—ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত স্থাপত্য প্যারিসের অপেরা হাউস। প্রায় চার মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। একটানা বৃষ্টিতেও কাজ থেমে থাকেনি। উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য, মহালয়ার মধ্যেই সম্পূর্ণ প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা। এখন থেকেই কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন প্যান্ডেল দেখতে। প্যান্ডেল প্রস্তুতকারক দিলীপ ওঝা জানিয়েছেন, প্লাই, পুট্টি, বাঁশ ও বাটাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বিশাল শিল্পকর্ম। যদিও পুজোর সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তবুও এতে কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি তাঁর।
advertisement
উদ্যোক্তা দীপক দাস জানিয়েছেন, চন্দননগরের বিখ্যাত আলোকসজ্জা আলাদা মাত্রা যোগ করবে মণ্ডপে। শুধু তাই নয়, বিরাট প্যান্ডেলের ভিতরেই তৈরি হচ্ছে বিশালাকার প্রতিমা। মিতালী সংঘের সদস্যদের আশা, পুজোর ক’দিন এখানে ভিড় জমবে হাজার হাজার দর্শনার্থীর। এলাকাবাসীর কাছে ইতিমধ্যেই এটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুর্গাপুজো মানেই যেখানে আনন্দ ও উৎসব, সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের রত্নার নেতৃত্ব নতুন দৃষ্টান্ত গড়ছে সোনারপুরে।