১৯৩০-এর দশক থেকে সুদীর্ঘকাল অল ইন্ডিয়া রেডিওয় বেতার সম্প্রচারকের কাজ করেছেন তিনি। দত্তপুকুর এক নম্বর পঞ্চায়েতে, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের বাগানবাড়িটি আজও অক্ষত রয়েছে। জানা যায়, সেই সময় থেকে এই বাড়িটির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন এক সংখ্যালঘু পরিবার। আজও সেই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছেন। সেই পরিবার সূত্রেই জানা যায়, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র অবসর সময়ে এই বাড়িতে এসেই থাকতেন। শুধু তাই নয়, নাট্যচর্চা সংগীত চর্চার পাশাপাশি সবরকম অনুশীলনী চলত এই বাড়িতে।
advertisement
আরও পড়ুন:
বাড়ি ভর্তি ছিল নানা বাদ্যযন্ত্র। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর, সেই বাদ্যযন্ত্র তার কলকাতার বাড়িতে দিয়ে আসেন মণ্ডল পরিবার। জানা যায়, নিরিবিলি পরিবেশের কারণে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র মাসের বেশিরভাগ দিন এই বাড়িতেই এসে থাকতেন। তার ভাগ্নে অশোক কৃষ্ণ ভদ্র এই বাড়িতে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের এই বাগানবাড়িটি বর্তমানে ভগ্নপ্রায়। চারিদিক থেকে খসে পড়ছে আস্তরণ। তবুও মহান এই ব্যক্তিত্বের স্মৃতি আগলে আজও বাড়ির দেখভাল করে চলেছে মণ্ডল পরিবারের এ প্রজন্মের বংশধররা।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে জানাযায়, এই বাড়ির জমি বর্তমানেও অশোক কৃষ্ণ ভদ্র, বরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ও রবীন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রর নামেই রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই বাড়িটি বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি বলে সবাই জানে। বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্বে সেই সময় থেকে ছিল একটি সংখ্যালঘু পরিবার। আজও সেই পরিবারই দেখভাল ও বসবাস করছে। পঞ্চায়েত প্রধান সঙ্গীতা হালদার জানান, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মতো কিংবদন্তি শিল্পীর বাড়ি দত্তপুকুর এক নম্বর পঞ্চায়েতে এটা আমাদের কাছে গর্বের।
আরও পড়ুন: শুধু রান্নায় নয়! শরীরের যেকোনও ব্যথা, ডায়াবেটিস-সহ বহু জটিল রোগে দারুণ কাজের তেজপাতা!
বর্তমানে এই মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতিধন্য বাড়িটি শরিকি বাড়ি হওয়ায়, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সংরক্ষণের কোন পরিকল্পনা নেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানা যায়। তবে পরিকল্পনা রয়েছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের এই বাড়িটি সংরক্ষণ করার। তবে পরিবারের তরফ থেকে উদ্যোগী না হলে, তা করা সম্ভব হবে না বলেও স্বীকার করে নেয় স্থানীয় প্রশাসন। যদিও পরিবারের তরফ থেকে বাড়িটি ঠিকঠাক করে দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর মেলেনি বলেই দাবি দেখভাল করা পরিবারের। তবে আজও এই বাড়িকে ঘিরে নস্টালজিক এলাকাবাসীরা।
Rudra Narayan Roy