TRENDING:

৪২০ বছরের প্রথা! একাদশীতে ১২ ঘণ্টার যাত্রার পর জঙ্গিপুরে পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন, আজও আবেগ মুর্শিদাবাদে

Last Updated:

রঘুনাথগঞ্জের গদাইপুরে ৪২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পেটকাটি দুর্গার নিরঞ্জন সম্পন্ন হল একাদশীর সকালে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে হাজারও ভক্ত উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের এই ঐতিহ্য সাক্ষী থাকতে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মন্ডল: ৪২০ বছর ধরে মা একই প্রথা মেনে পেটকাটি দুর্গার নিরঞ্জন পর্ব করা হল শুক্রবার সকালে একাদশীর দিনে। পেটকাটি রূপেই দুর্গাকে পুজো করে চলেছে গদাইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। ‘পেটকাটি দুর্গা’ বলে পরিচিত মা। একাদশী দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হল জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও দুর্যোগের মধ্যেও সাধারণ মানুষ ভিড় করেছিলেন এই নিরঞ্জন দেখতে ও মা দুর্গার আশীর্বাদ নিতে। পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার পর শুরু হয়েছে বিভিন্ন বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া। প্রতিমা মন্ডপ থেকে বের হয়ে নিরঞ্জন হতে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
advertisement

জানা গিয়েছে, দেবী এখানে পেটকাটি দুর্গা। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে ৪২০ বছরেরও বেশি পুরনো পুজো ঘিরে নানা কাহিনি রয়েছে। ঐতিহ্যের টানে আজও এখানে কাতারে কাতারে দর্শনার্থী হাজির হন। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে, গদাইপুর গ্রামের এই পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। দেবী এখানে পুজিতা হন পেটকাটি দুর্গা নামে। এই নামের নেপথ্যেও রয়েছে ইতিহাস। পুজোর চারদিন দেবীর পুজো হওয়ার পর দশমীর দিন আখরী নদী ও পরে ভাগীরথী  নদীপথে নৌকো করে পেটকাটি দুর্গাপ্রতিমাকে আনা হয় জঙ্গিপুর সদর ঘাটে। এলাকার অন্যান্য দুর্গা প্রতিমাও আনা হয় সদর ঘাটে। বসে মেলা, চলে বাইচ। সব প্রতিমার সঙ্গে সাক্ষাতের পর একাদশীর দিন বেলা ১১টায় জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে প্রথমে পেটকাটি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তার পর বাকি প্রতিমার নিরঞ্জন হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: বিজয়া দশমীতে মিষ্টিমুখের পালা, মিষ্টির দোকানে উপচে পড়া ভিড়

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দশমীর মধ্যরাতে বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ পেটকাটি দুর্গা প্রতিমাকে নিরঞ্জনের জন্য মন্দির থেকে বার করা হয়। এরপর বেহারা এবং গ্রামবাসীদের কাঁধে চাপিয়ে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় আখরি নদীতে। সেখানে নৌকাতে চাপিয়ে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাগীরথী নদীতে নিরঞ্জনের জন্য। প্রতিমা মন্ডপ থেকে বের হয়ে নিরঞ্জন হতে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।

advertisement

আরও পড়ুন: কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়িতে চলল দশমীর সিঁদুর খেলা! উৎসবে মাতল পর্যটকরা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

রঘুনাথগঞ্জ শহরের দীর্ঘদিনের রীতি পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার পরেই এলাকার সমস্ত বারোয়ারি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা গদাইপুরের মন্দির থেকে বার হওয়ার পর এলাকাবাসীরা কয়েকশো নৌকা নিয়ে প্রতিমাকে নদীতে অনুসরণ করতে থাকে। কানুপুর, খিদিরপুর, বালিঘাট ,সদরঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটের সামনে গিয়ে প্রতিমা নিয়ে নৌকা দাঁড়িয়ে থাকে এবং মা দুর্গাকে প্রণাম জানানোর জন্য এবং তাঁর আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ঘাটের দুই ধারে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়ে থাকেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
৪২০ বছরের প্রথা! একাদশীতে ১২ ঘণ্টার যাত্রার পর জঙ্গিপুরে পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন, আজও আবেগ মুর্শিদাবাদে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল