থিমের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা থেকে শুরু করে তার বাস্তবায়ন, সবেতেই নজর কেড়েছে শিল্পীসত্ত্বা ও কল্পনার অভিনব প্রকাশ। আলোর ঝলকানি, রঙিন কাপড় কেটে তৈরি ফিতে, সঙ্গে শোলার শিল্পকর্ম, সব মিলিয়ে যেন গড়ে উঠেছে এক অদ্ভুত মায়ার জগৎ। খোলা আকাশের নিচে মুক্ত মঞ্চে থিম সাজানোর জন্য দর্শকরা প্যান্ডেলে প্রবেশের মুহূর্ত থেকেই যেন স্বপ্নময় আবহে ডুবে যাচ্ছেন।
advertisement
রাতের আলো আঁধারিতে সেই মায়াজাল আরও যেন বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। আলমগঞ্জ বারোয়ারির সম্পাদক শুভাশীষ সিংহ বলেন, মানুষ খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে থিম উপভোগ করছেন, এতে আমরাও অনেক খুশি। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার বিশাল বাজেটে সাজানো এই থিম ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন শুধুমাত্র এই অনন্য থিমটি একনজর দেখার জন্য।
ভিড় সামলাতে আয়োজকদেরও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবুও দর্শকদের মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে বোঝা যায়, তাঁদের কষ্ট সার্থক। আলমগঞ্জ বারোয়ারি শুধু একটি পুজো কমিটি নয়, বরং বর্ধমান শহরের মানুষের কাছে একটা আবেগ। বিগত কয়েক বছর ধরেই তারা দুর্গোৎসবের আবহে নতুন নতুন থিম উপহার দিয়ে চলেছে বর্ধমানবাসীকে। এবছরের ‘মায়াজাল’ সেই ধারারই এক অনন্য সংযোজন। থিম পরিদর্শনে এসে বর্ধমান শহরের বাসিন্দা সমীর কুমার পাল বলেন, প্রত্যেক বছর অপেক্ষায় থাকি এই আলামগঞ্জ বারোয়ারি কী করবে সেটা দেখার জন্য। মায়াজাল সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
থিমটির মূল বার্তা মানুষ আসলে জীবনযাত্রার নানা জটিলতায়, সম্পর্কের টানাপোড়েনে এবং সমাজের নানা বন্ধনে এক অদৃশ্য মায়াজালে আবদ্ধ। আলমগঞ্জ বারোয়ারির শিল্পীরা সেই দর্শনকেই শিল্প ও নান্দনিকতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে এবারের দুর্গাপুজোয় বর্ধমান শহরের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই ‘মায়াজাল’ থিম।