বর্তমান সময়ে প্রায় মাটির ঐতিহ্যর জিনিস যেন আসতে আসতে হারিয়ে যেতে বসেছে। কুমোর পাড়াতে গেলে দেখা যায় না এখন সেই ব্যস্ততার ছবি। একটা সময় কুমোর পাড়াতে গেলে দেখা যেত মাটির বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে রৌদ্রে শুকাতে দেওয়া কাজ, তার পরে আগুনে পোড়ান। সে এক অন্যরকম ব্যস্ততার ছবি লক্ষ্য করা যেত। সেই ঐতিহ্য বর্তমান মোবাইলের সময়ে ছেলেমেয়েরা দেখতে পাচ্ছে না এই ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রাখতে এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই পুজো কমিটি। জানলে আপনাকে ভাবাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মিস! দুঃখ না করে চলে আসুন হাতের কাছের এই মন্দিরে, পুজো দেওয়া যাবে মন ভরে
পশ্চিম বর্ধমানের কল্যাণপুর আদি দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক তাপস সেনগুপ্ত বলেন, “বাঁকুড়া থেকে শিল্পী নিয়ে এসে আমরা এই মণ্ডপে কাজ শুরু করেছি। দুই মাস আগে থেকেই এই মণ্ডপের কাজ শুরু হয়েছে। চন্দননগরের লাইটের গেট হবে। চতুর্থীতে পুজো উদ্বোধন হওয়ার কথা আছে। এ বছরে পুজোর বাজেট প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। পুজোর পাঁচটা দিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত আসানসোল মহকুমার কল্যাণপুর আদি দুর্গাপুজো ৪৫ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। এবারে তাদের ভাবনা ‘মৃত্তিকা’ অর্থাৎ মাটি। তারা কুমোর পাড়ার সেই কুমোরদের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছে এবারের পুজো মণ্ডপে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই মণ্ডপে গেলে আপনি দেখতে পাবেন পুরনো সময়ে কুমোররা নিজের হাতে তৈরি করছে মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র, কুমোরদের স্ত্রীরা কীভাবে মাটির তৈরি জিনিস পত্র রৌদ্রে শুকাছে, বাচ্চারা খেলাধুলা করছে। পাশাপাশি দেখতে পাবেন তাদের বাড়িঘর, জীবন কাহিনী। মণ্ডপটি সম্পূর্ণ খড়, মাটি, টালি, প্লাই ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই এবারের পুজোতে কুমোর পাড়ার সেই পুরনো ঐতিহ্যর ছোঁয়া পেতে গেলে আসতে হবে আপনাকে এই পুজো মণ্ডপে।