প্রতি বছরের মত এবারও থিমে নতুনত্ব এনেছে ক্লাবটি। যেহেতু ঝাড়গ্রাম জেলা শাল, পলাশ, মহুয়া গাছের ঘেরাটোপে খরস্রোতা নদী, পাহাড়, টিলা, লালমাটি এবং উপজাতিদের এক বিশেষ লোকসংস্কৃতিতে গঠিত। তাই লাল মাটির দেশের অধিবাসীদের প্রাকৃতিক ও লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরে অরণ্য সুন্দরীকে নিয়েই থিম সাজিয়েছে এই ক্লাব।
advertisement
গিধনীর পূর্বাশা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবার ২৫’তম বর্ষে পা রেখেছে। ১৮ লক্ষ টাকা বাজাটে এবার শৈল্পিক কারুকাজের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুজা মণ্ডপ। এদের থিম এবার ‘অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম ‘। এই থিমটিকে দুটি ভাগে সাজানো হয়েছে। মণ্ডপের বাইরের দিকে অনেকটা উঁচু মঞ্চের উপর রয়েছে চিল্কিগড়ের মন্দির, ঝাড়গ্রামের শ্মশান কালী মন্দির, নয়াগ্রামের রামেশ্বর মন্দির-সহ জেলার নামকরা স্থানগুলি। পুজো কমিটির সভাপতি সুমিত বিশাল জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছরই আমরা কিছু না কিছু নতুন থিম ভাবনা নিয়ে আসি এবার আমরা নিজেদের জেলার পর্যটন, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিকটি জেলার মানুষের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম সেই মতোই এবারের থিম সাজানো হয়েছে।
গিধনী পূর্বাশা ক্লাবের অরণ্য সুন্দরী মণ্ডপ
শিল্পী তপন মাহালীর হাতের ছোঁয়াতে একটু একটু করে রূপ পেয়েছে পুজো মণ্ডপটি। আর ভিতরে ক্লে মডেলিংয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জেলার অর্থনৈতিক দিকটি। ঝাড়গ্রাম জেলা মূলত কৃষিভিত্তিক জেলা। গ্রাম বাংলার কৃষকদের অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক চিত্রটিকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেখানে। এছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটির শিল্প সেগুলিকেও মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী জানান, ‘এক ছাতার তলায় সমস্ত ঝাড়গ্রামকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপাশি জেলায় বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় যেমন কামার , কুমোর, ডোমেদের জীবনযাত্রার ছবিকেও চিত্রায়িত করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও তাদের পুজো জেলাবাসীর মন কেড়ে নেবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার এই পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুজো প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, জামবনীর বিডিও দেবব্রত জানা, জামবনী থানার পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ বসু মল্লিক, জামবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন মুর্মু-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুজো কমিটির সদস্যরা।