অন্যদিকে শিশুদের শৈশবও যেন কোথাও আজ খাঁচায় বন্দি। প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিশুরা স্বাভাবিক আনন্দ, খেলাধুলা ও প্রকৃতির সান্নিধ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ ও পুরস্কারকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে। ফলে শিশুরা তাঁদের কল্পনাবোধ, সৃজনশীলতা এবং সুস্থ মানসিক বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাখিদের মতো শিশুদেরও যেন আজ উড়তে মানা। তাই মানব সমাজকে সচেতন করতে দুর্গাপুরের বিধাননগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এবারের থিম ‘উড়তে মোদের মানা’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গাছের তলায় ‘ওগুলো’ কী? কাছে যেতেই যা দেখা গেল…! সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর, মালদহে শোরগোল
বিগ বাজেটের এই পুজো পরিচালনা করে ক্লাব স্যান্টোষ। তাঁদের পুজো এবার ৫৪ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিশাল মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মেদিনীপুরের শিল্পীরা মণ্ডপ তৈরি করছেন। ১২০ ফুট চওড়া, উচ্চতা ৭০ ফুট। বাঁশ, বাটাম, চটের বস্তা ও খড় দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। পুজো মণ্ডপ তৈরি করছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা সৌমেন চৌধুরী। এছাড়াও মেদিনীপুরের শিল্পীরাও রয়েছেন।
প্রতিমা গড়ছেন দুর্গাপুরের সুখ্যাত মৃৎশিল্পী অরুণ পাল। সেই সঙ্গে আলোকসজ্জাতেও থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। পুজোর সহ সম্পাদক হৃদয় সাঁই জানান, পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই নানা সংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান হবে। পুজোয় এলাকার মহিলাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো হয়। তাঁদের পুজোর বিশেষত্ব হল ‘আনন্দ মেলা’। ওই মেলা মূলত খাদ্যমেলা। এলাকার মহিলারা নিজেদের হাতে বানানো নানা খাবার নিয়ে মেলায় বসেন। পুজোয় বাড়ির বানানো ওই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বহু দর্শনার্থী তথা খাদ্যারসিক মানুষ ভিড় করেন। এছাড়া এখানে অষ্টমী ও নবমীতে প্রায় চার হাজার এলাকাবাসীকে ভোগ খাওয়ানো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরে এই ধরণের অভিনব মেলার প্রথম সূচনা করে এই পুজো কমিটি। গত বছর তাঁদের থিম ছিল ‘ধৃতি’। এবারের চমক ‘উড়তে মোদের মানা’। জঙ্গলের গাছগাছালির শুকনো ফুলফল ও পাতা দিয়ে মণ্ডপ সেজে উঠছে। জংলি ফলের কারুকার্যের মণ্ডপসজ্জা তাক লাগিয়েছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও তাঁদের অভাবনীয় মণ্ডপসজ্জা দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে আশাবাদী পুজো কমিটি।