মিশরের সৌন্দর্যের নির্যাস লুকিয়ে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস, স্থাপত্য, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সংস্কৃতির মধ্যে। নীল নদের তীরে অবস্থিত পিরামিড, মন্দির, এবং সমাধিগুলি প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর উজ্জ্বল উদাহরণ। একদিকে মরুভূমি এবং অন্যদিকে নীল নদের উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ, যা বর্তমানেও দর্শকদের মুগ্ধ করে।
advertisement
টিভির পর্দায় মিশর নিয়ে বিভিন্ন সিনেমা দেখে বা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে মিশরের ছবি দেখে অনেকেই মিশর যাওয়ার কল্পনা করেন। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না। তবে এবার দুর্গা পুজোয়। তমলুক শহরে এলেই মিশরের সৌন্দর্য দেখা যাবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুকের ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোর থিম মিশরের সৌন্দর্য। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দুর্গাপুজোর প্রায় দু’মাস আগে থেকে খুঁটি পূজার মাধ্যমে তমলুক শহরের বুকে এক টুকরো মিশরের সৌন্দর্য তুলে ধরতে তোড়জোড় শুরু করেছে পুজো উদ্যোক্তারা।
তমলুক ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাব। তাদের ৩২তম পুজোতে মিশরের সৌন্দর্যের থিমের পাশাপাশি ঠাকুর, প্যান্ডেল, লাইট এর ওপর জোর দিয়েছে এবারের বাজেট ২০ লক্ষ টাকা। খুঁটি পূুজোতে উৎসাহ দেখা গেল মহিলাদের মধ্যে। পুজোর কটা দিন বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ থাকবে।এই ক্লাবের পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিগত কয়েক বছর ধরে তমলুক শহরে বিগ বাজেটের পুজোর থিম তৈরি করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে আসছে। দুর্গাপুজো ঘিরে বাঙালির নস্টালজিয়া। দুর্গাপুজোর ছুটি মানে বেড়াতে যাওয়া। অনেক মানুষের স্বপ্ন মিশর বেড়াতে যাওয়া। এবার পুজোয় বিষয়ে মিশর বেড়াতে না গেলেও মিশরের পরিবেশ পেতে তমলুক আসতেই হবে। এমনটাই জানান পুজো উদ্যোক্তারা।পুজোর ক’দিন থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা ও সমাজসেবা মূলক কর্মসূচি। পুজো উদ্যোক্তারা এখন থেকেই রীতিমত কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন।
সৈকত শী