এই সংকট নিয়ে ভাবিত তাজপুরের বালিসাই এলাকার কিছু তরুণ ঠিক করেছেন, তাঁরা দুর্গা পুজোকেই ব্যবহার করবেন সচেতনতার মঞ্চ হিসেবে। তাই এবারের বালিসাই অগ্নিবীণা ক্লাবের প্রথম দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে এক বিশেষ থিম নিয়ে, “প্রকৃতি বাঁচান, ঝাউবন রক্ষা করুন”। উদ্যোক্তাদের মতে, এই পুজো শুধু উৎসবের আনন্দের জন্য নয়, বরং দিঘার নিজস্ব সৌন্দর্য রক্ষার জন্য জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে কড়া হচ্ছে। আর সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল খুঁটি পুজোর মাধ্যমে। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা ও ক্লাব সদস্যরা একসঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন, সবুজকে বাঁচাতে হবে।
advertisement
তাজপুর সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বালিসাই এলাকায় ক্লাবের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিরূপে। বাঁশ, কাঠ, খড়, কাগজ ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সাজান হবে মণ্ডপ। ভিতরে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন সমুদ্র পাড়ের ঝাউবন, পাখি, ঢেউ এবং বালুকাবেলার দৃশ্য। যেন প্রকৃতির কোলে ফিরে যাওয়া।
আরও পড়ুনঃ দিঘার জগন্নাথ ধামে এখন কী চলছে জানেন? জন্মাষ্টমীর সকালের ছবি দেখুন, সরাসরি!
মণ্ডপের এক পাশে থাকবে তথ্যচিত্র ও প্রদর্শনী। যেখানে জানান হবে কীভাবে অতিরিক্ত কংক্রিট, অসচেতন পর্যটন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ঝাউবনের ক্ষতি করছে। শিশু ও তরুণদের জন্য থাকবে বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি, যাতে তারা ছোটবেলা থেকেই পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের বালিসাই গ্রামে এই পুজোকে ঘিরে ইতিমধ্যেই এলাকায় উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজোকে ঘিরে খুঁটি পুজোর দিন থেকেই উন্মাদনা তুঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, “মায়ের মণ্ডপে ঢুকলেই যেন মানুষ প্রকৃতির স্নেহমমতা অনুভব করেন, এবং উপলব্ধি করেন প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।”
যেভাবে দুর্গা মা অশুভ শক্তির বিনাশ করেন, সেভাবেই এই পুজো উদ্যোক্তারা চান – প্রকৃতির শত্রু হয়ে ওঠা কংক্রিটের দৌরাত্ম্য ও অসচেতনতার অবসান হোক। দিঘার ঝাউবন যেন আবার সবুজে ভরে ওঠে, বাতাসে বাজুক পাতার সোঁ সোঁ শব্দ, ঢেউয়ের সঙ্গে মিলুক সেই চিরচেনা সুর।