দুর্গাপুজোর ভিড় সামলাতে সোদপুর-খড়দহে এবার থাকবে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থাও। পাশাপাশি পুজো মণ্ডপগুলির প্রবেশ ও বাহির পথ প্রশস্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানিহাটির লোকসংস্কৃতি ভবনে সোদপুর-খড়দহ অঞ্চলের মোট ২৭৪টি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝা।
আরও পড়ুনঃ মাথায় জটা, হাতে বাদ্যযন্ত্র, বাউল রূপে দেবী দুর্গা! কোথায় মিলবে মায়ের এমন দর্শন?
advertisement
তিনি জানান, প্রতিটি পুজো মণ্ডপে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দর্শনার্থীরা দ্রুত বেরোতে পারেন, তার জন্য মণ্ডপের প্রবেশ ও বাহির পথ যথেষ্ট বড় রাখতে হবে। ডিসি স্পষ্ট করে বলেন, প্রতিটি পুজোয় পুলিশ ফোর্স দেওয়া সম্ভব নয়। বড় পুজোগুলিতে ফোর্স থাকবে, তবে তা চাহিদা অনুযায়ী নাও হতে পারে। তাই বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে।
এছাড়াও, রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুজো উদ্যোক্তাদের বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেন তিনি। বৈঠকে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, পানিহাটি ও খড়দহ পুরসভার প্রতিনিধিরা ছাড়াও দমকল, পূর্ত ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আসান পোর্টালের মাধ্যমে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমে পুজো অনুমতির বিষয়টিও উদ্যোক্তাদের বোঝানো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবার উল্লেখযোগ্য পুজোগুলির মধ্যে রয়েছে পানিহাটির শহিদ কলোনির চারধাম থিম, সোদপুর নবোদয় সঙ্ঘের দর্পণ, আগরপাড়া আদর্শ নগর সর্বজনীনের প্রাণাঙ্কুর, পানশিলা ঠাকুরবাড়ির শ্রীচরণেষু এবং আগরপাড়া মহাজাতি নগর সেন্ট্রালের জোনাকি থিমের পুজো। তাই হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পুলিশের এই নির্দেশগুলি মেনেই মণ্ডপ তৈরির উপর জোর দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা।