শান্তিপুরের প্রাচীন ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, শান্তিপুর অ্যামেচার ক্লাব নিকটস্থ শান্তিপুর কল্ল্য বাড়ি বর্তমানে যেটা উকিল বাড়ি নামে পরিচিত, সেই বাড়ির কর্ণধার শ্যমাচরণ প্রামাণিক এই মাতৃ মূর্তিটি তৎকালীন মতিগঞ্জ মোড় নিকটস্থ গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে গঙ্গা থেকে তুলে নিয়ে এসে মতি গঞ্জ মোড়ে ঠাকুর মন্দিরের বেদীতে স্থাপন করেন। তবে তারও আগে বাড়িতে ঠাকুর দালানে পুজো হত দুর্গা। আর সেই কারণেই পিতলের দুর্গা পুজোর ব্যবস্থা করেন বাড়ির কিছুটা দূরে মতিগঞ্জ মোড়ে। তবে সেখানে সারা বছরই পুজো হয় দুর্গা দেবীর।
advertisement
আরও পড়ুন : থিমে টেক্কা দেওয়ার যুগে ব্যতিক্রম এই পুজো! এখনও মিলেমিশে এখানে হয় উৎসব! ২০ গ্রামের একটাই পুজো, দেখে আসুন
অন্য এক সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার বীরনগরের মিত্র মুস্তৌফিবাড়ি পূজিত হতেন এই মহিষমর্দিনী মাতা। সেখানেও মহাসমারোহে হত পুজোপাঠ এবং শান্তিপুর শহর সহ আরও অন্যান্য অঞ্চলের অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষেরা সেখানে উপস্থিত থাকতেন। এছাড়াও আরও জানা যায় যে, সেবা চালাতে অক্ষম দেবীর সেবায়েতগণ নৌকা করে মূর্তিটি শান্তিপুর শহরের গঙ্গায় এসে ভাসিয়ে দেন। যেটা পরবর্তীকালে শ্যামাচরণ বাবু পেয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন : মায়ের আরাধনায় ‘মাতৃবন্দনা’! চোখে আঙুল দিয়ে কঠিন বাস্তব দেখাচ্ছে এই থিম, না দেখলে পুজোয় ঘোরা ব্যর্থ
প্রত্যেকদিনই মায়ের মন্দিরে পুজো করা। দুর্গাপুজোতেও একেবারেই আড়ম্বরহীন ভাবে পূজিত হন মা। তবে তার অপর আরেকটি কারণ হল এই পুজোটি যাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়, অর্থাৎ শান্তিপুর উকিল বাড়ি, তাদের বাড়িও এই মূর্তি উদ্ধারের আগে থেকেই অর্থাৎ ৩০০ বছরের অধিক সময় ধরেই দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়। আর ঠিক কারণেই দুটি দুর্গা পুজো একসঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এমনটাই জানাচ্ছেন তাদের বাড়ির কর্মকর্তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে মহাষ্টমীর দিন এই অঞ্জলী দেওয়ার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট জনসমাগম হয়। মাতৃ মূর্তির সঙ্গেই এই মন্দিরে পূজিত হন দেবাদিদেব এবং নারায়ণ শিলা। তবে প্রকৃত ঈশ্বর বাস নিরালায় , নিভৃতে , নির্জনে এবং তার পুজোও করা হয় অত্যন্ত আড়ম্বরহীন ভাবে। সম্প্রতি মন্দিরের সামনে একটি স্পেশাল বিজ্ঞাপনে ঢাকা পড়ছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ইতিহাস। এ ব্যাপারে উদাসীন প্রশাসন।