বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। এক বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে উমা বাড়ি ফিরছেন। প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল রামপুরহাটের নবীন ক্লাব। ক্লাবের সদস্যদের দাবি, এবার মণ্ডপে প্রবেশ করলে গোটা জগৎটাই পাল্টে যাবে। মায়ানগরী ছেড়ে বেরিয়ে আসতে মন চাইবে না দর্শকদের।
আরও পড়ুনঃ মণ্ডপ জুড়ে রোপন করা হয়েছে ধান! সিলিংয়ে ঝুলছে খড়! পুজোর থিমে ‘অন্নদাতা’র কাহিনী, কোথায় জেনেন?
advertisement
এবার বাজেট প্রায় ৪৫-৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তবে মণ্ডপে থাকবে না কোনও কাপড়ের ছোঁয়া। গোটা মণ্ডপই হচ্ছে ফাইবার গ্লাস দিয়ে। যা এই জেলায় একেবারে নতুন। ‘মায়ানগরী’র ভাবনা সুচারুভাবে বাস্তবের রূপ দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন মেদিনীপুরের শিল্পী গোপাল ঘড়া। বিভিন্ন রঙের টুকরো টুকরো ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি পুতুল দিয়ে ভরিয়ে তোলা হবে মণ্ডপ। থাকবে ফাইবার গ্লাসের তৈরি নানা কারুকার্য।
এরই সঙ্গে রয়েছে অপরূপ আলোকসজ্জা। মণ্ডপের অন্দরমহলে থাকবে আধো আলো ছায়া, আর সেই আধো আলো ছায়া দর্শকদের মায়াবী পরিবেশ দেবে। প্রতিবছরই এই পুজোর প্রতিমার অন্য আকর্ষণ থাকে এ বছরও যদিও তার অন্যথা হচ্ছে না। মণ্ডপ শয্যায় মায়া নগরীর সঙ্গে মানানসই প্রায় ২৪ থেকে ২৫ ফুট উচ্চতার অপরূপ প্রতিমা দেখতে ভিড় জমবে বলে মনে করছেন ক্লাবের সদস্যরা।
মূর্তি তৈরি করেছেন রামপুরহাটে শিল্পী আলো দাস। তার দাবি, ‘প্রতিমার চালা থেকে চার পাশের কারুকার্য দর্শকদের এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। একবার এই নবীন ক্লাবের পুজোতে ঢুকলে আর এই ক্লাব থেকে বেরোতে মন চাইবে না’।
এর সঙ্গেই থাকবে চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। নবীন ক্লাবের কর্ণধার উজ্জ্বল ধীবর ওরফে দীপু ধীবর জানান, ‘আমরা প্রত্যেক বছর দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু উপহার দিয়ে থাকি, এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না’। তাই এবার আপনি যদি বীরভূম ভ্রমণের জন্য আসেন দুর্গাপুজোর সময় তাহলে অবশ্যই একবার ঢুঁ মেরে যেতে পারেন এই নবীন ক্লাব থেকে।