রামায়ণ আসলে শুধু এক রাজার বীরত্বের গল্প নয়। এটি সত্য, ন্যায়, ত্যাগ ও ভক্তির অনন্ত উপাখ্যান। এটি এমন একটি গল্প, যা আজও হাজারও মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়, অন্ধকারের মধ্যেও আলোর পথ দেখায়। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বাজেটে বর্ধমানের এই মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মেদিনীপুরের দক্ষ শিল্পীদের নিপুণ হাতে সেজে উঠেছে রামায়ণের প্রতিটি অধ্যায়। মণ্ডপের প্রতিটি কোণ যেন একেকটি গল্প বলছে। কখনও রামের ধৈর্য, কখনও সীতার শক্তি, কখনও হনুমানের অপরিসীম ভক্তি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাংলার বুকে থাইল্যান্ডের মিউজিয়াম! বিগ বাজেট পুজোয় উপচে পড়া ভিড়, কোথায় তৈরি হয়েছে এই প্যান্ডেল?
তেলিপুকুর সুকান্ত স্মৃতি সংঘের তরফে রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, “বহু মানুষ ভিড় করছেন। আমাদের থিমের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ দিতে পেরে আমরা আপ্লুত।” শুধু চোখে দেখা নয়, এই মণ্ডপে ঢুকলে রামায়ণের আবহও অনুভব করবেন। সাউন্ড সিস্টেমে শোনা যাবে মহাকাব্যের কাহিনী, বিশেষ লেজার শো নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে।
এছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য তীর-ধনুক দিয়ে বিশেষ সেলফি পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অনেকেই হাতে তীর-ধনুক নিয়ে ছবি তুলছেন এবং আনন্দ উপভোগ করছেন। এই মণ্ডপ সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে তৈরি। হোগলা পাতা, বিভিন্ন ফলের বীজ ও প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে প্রকৃতিও যেন এই পুজোর অংশ হয়ে উঠেছে। তেলিপুকুর সুকান্ত স্মৃতি সংঘের এবারের পুজো শুধুই আনন্দের নয়, এ এক মহাকাব্যের সাক্ষী। যখন ঢাকের তালে কাঁপবে চারদিক, যখন লেজার শো-এর আলো আঁধারে রামায়ণের কাহিনীতে মণ্ডপ ভরে উঠবে, তখন দর্শনার্থীরা বুঝতে পারবেন এ শুধু পুজো নয়, এ যেন এক যাত্রা। শৈশবের স্মৃতি থেকে পৌরাণিক কাহিনীর ভিতর দিয়ে এক আধ্যাত্মিক যাত্রা, যেখানে রামের ধৈর্য, সীতার শক্তি, লক্ষ্মণের ভ্রাতৃত্ব ও হনুমানের ভক্তি আমাদের জীবনকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।