TRENDING:

Durga Puja 2025: ‘গাইয়ের আছে, বাজিয়ের কদর নেই’, রাশিয়ায় ঢাক বাজিয়ে এসেও ঘর চালাতে টোটো! এখন কী অবস্থা লালু ঢাকির জানেন?

Last Updated:

Durga Puja 2025: ১৯৮৬ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারত উৎসবে, রাশিয়ায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই শুরু হয় তাঁর বাজনার তালে পথচলা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাঁশচাতর গ্রামের বাসিন্দা লালু দাসের কদর এখন দেশজুড়ে। দুর্গাপুজো এলেই তার ডাক পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ছোটবেলায় বাবার কাছেই তালিম। বয়স বাড়তেই মন্মথ দাস ও ধনপতি দাসের কাছে ঢাক বাজানো শিখতে নাড়া বাঁধেন। তাঁর বাজনার জাদুতে মুগ্ধ সবাই।
advertisement

১৯৮৬ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারত উৎসবে, রাশিয়ায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই শুরু হয় তাঁর বাজনার তালে পথচলা। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। কী নেই তাঁর ঝুলিতে? বড় বড় সম্মান, পুরস্কার, বিদেশ ভ্রমণ, গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ। এত কিছুর পরেও তাঁর আক্ষেপ, বর্তমান প্রজন্ম এই পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আর কেউ নন, বাংলার স্বনামধন্য ঢাকি লালু দাস।

advertisement

আরও পড়ুন: লাদাখের অশান্তির পিছনে দায়ী কে? নাম বলে দিল কেন্দ্র…প্রবল বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই মৃত ৪

লালু দাসের বাবা এবং ঠাকুরদাও ঢাকি ছিলেন। ফলে ছোট থেকেই ঢাক বাজানোয় হাত পাকিয়েছেন তিনি। ১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ের আরব সাগরের তীরে বাসিন্দাদের তাঁর বাদ্যে মশগুল করেন লালু দাস। তার পর থেকে প্রতি বছরই গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের দুর্গাপুজোয় ডাক পড়ে তাঁর। ২০০৪ সালে হনলুলু অ্যাকাডেমি অফ আর্টসের ডাকে যান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: চারদিকে জল থইথই, পুজোতেও বৃষ্টি! পকেটের ফোন ভিজে গেলে কী করবেন? ৫ টিপস শিখে নিন, মোবাইলের ভেতর থেকে টেনে বের করবে জল

২০০৬ সালে ভয়েস অফ বেঙ্গল অনুষ্ঠানের মঞ্চে জাদু  দেখায় তাঁর ঢাক। ২০০৭ সালে পাড়ি দিয়েছিলেন সিডনি-সহ অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলিতে। এত গেল বিদেশের কথা। দেশের এমন কোনও প্রান্ত নেই যেখানে তিনি ঢাক বাজাতে যাননি। এ হেন প্রতিভাবান শিল্পীকে সারাটা বছর পেটের দায়ে টানতে হয় ভ্যান কিংবা রিক্সা। যদিও তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর।

advertisement

৯জন নিজের দলের ঢাকি ও কাঁসর বাদকদের নিয়ে মুম্বাই রওনা দেওয়ার আগে এখন জোড় প্রস্তুতি চলছে ঢাক বাজানোর। যদিও লালু দাস তিনি বলেন,’ পুজোর সময় কিছুটা কাজ মিললেও, সারা বছর কিছু কাজ থাকে না তাই আগে রিক্সা, ভ্যান চালাতাম। টোটোও চালিয়েছি। কিন্তু এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় সেসব ছেড়ে দিয়েছি। লোকের বাড়ির পুজোয় ডাক পেলে যাই। এভাবেই চলে যাচ্ছে। তবে এবছর আবার ডাক এসেছে লালু ঢাকির। পুজোর আগেই রওনা দেবেন মুম্বাই। লালু দাস বলেন, ‘সব পেলাম কিন্তু কোনওদিন সরকারি স্বীকৃতি পেলাম না। সরকারের তরফ থেকে গাইয়েদের পুরস্কৃত করা হলেও, বাজিয়েদের জন্য কোনও পুরস্কার নেই।’

advertisement

আরও পড়ুন: ‘আমি নিজেই নষ্ট করেছি আমার কেরিয়ার’, পরপর ব্লকবাস্টার হিট, হঠাত্‍ কেন অভিনয় ছেড়ে দিলেন অজয়, অক্ষয়ের নায়িকা? বাঙালি অভিনেত্রীকে চিনতে পারছেন?

গলায় সন্তুষ্টির স্বর নিয়ে বললেন, ঢাক বাজিয়ে তাঁর মতো নাম কজনই বা পেয়েছেন? কিন্তু, তাঁর স্বপ্ন এই প্রজন্মকে এই পেশার প্রতি আকৃষ্ট করা। কিন্তু, তার জন্য কিছু সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন। সরকার যদি পাশে দাঁড়ায় তা হলে আগামী দিনে আরও অনেক লালু দাস বিশ্বদরবারে বাংলাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে পারবেন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Durga Puja 2025: ‘গাইয়ের আছে, বাজিয়ের কদর নেই’, রাশিয়ায় ঢাক বাজিয়ে এসেও ঘর চালাতে টোটো! এখন কী অবস্থা লালু ঢাকির জানেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল