TRENDING:

Durga Puja 2025 : জঙ্গলের প্রাচীন দুর্গাপুজো! আদিবাসীরা করেন দেবী দুর্গার আরাধনা, মন্ত্রোচ্চারণ হয় অলচিকিতে

Last Updated:

Durga Puja 2025 : আদিবাসীদের নিজেদের ভাষায় উচ্চারিত মন্ত্রেই পুজিত হন দশভূজা দেবী দুর্গা। আর্থিক অনটনের সাংসারে আজও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন স্বপন হাঁসদা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর,দীপিকা সরকার: দুর্গাপুরের শহরতলি জুড়ে শতাধিক বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো ও বনেদি বাড়ি সহ ঐতিহাসিক পুজোর বিশেষত্ব অনেকেরই জানা রয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুর জঙ্গল মহলের গভীর জঙ্গলে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজো আজও অনেকেরই অজানা। দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লক জঙ্গলমহল নামেই পরিচিত। জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এই জঙ্গলে রয়েছে বহু আদিবাসী গ্রাম। তেমনই একটি আদিবাসী গ্রামে বহু বছর ধরে সকলের অজান্তেই হয়ে আসছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজো।
advertisement

সেখানে কোনও ব্রাহ্মণ পুরোহিত নয়, বংশ পরম্পরায় এই পুজো করেন আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা। কাঁকসার জামডোবা সংলগ্ন ফরেস্ট ডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে বহু বছর ধরে এই পুজো করে আসছেন স্বপন হাঁসদা। তবে প্রায় শতাধিক বছরের ওই পুজো পারিবারিক হলেও বর্তমানে সর্বজনীন পুজোর আকার নিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো আদিবাসী গ্রামগুলিতে সেভাবে দেখা যায় না বললেই চলে। তবে এই ছোট্ট গ্রাম ফরেস্ট ডাঙার বাসিন্দারা মেতে ওঠেন মা দুর্গার আরাধনায়।

advertisement

আরও পড়ুন : দামি সাইকেল নেই, জেদ আর স্বপ্নই ভরসা! জাতীয় স্তরে সোনা জিতে বাজিমাত কালচিনির যুবকের

স্বপন বাবু জানিয়েছেন, তাঁর বাবার দাদু রসিক হাঁসদা প্রথম দুর্গাপুজো প্রচলন করেন বাড়িতে। তবে সেই সময় ঘট পুজো হত। দারিদ্রতার কারণে কোনও প্রতিমা পুজো করতে পারেননি। এই পুজোর শুরুর পিছনে একটি দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছেন স্বপন বাবু। তিনি জানান, এক সময় রসিক বাবু জঙ্গলে গিয়েছিলেন শিকার করতে। সে সময় রসিক বাবুর পায়ে একটি বড় কাঁটা ঢুকে যায়। ব্যথাতে ছটফট করতে করতে তিনি জঙ্গলে থাকা একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন।

advertisement

আরও পড়ুন : হরিহরপাড়ায় দুর্ঘটনা! মুহূর্তে ছিটকে পড়লেন বৃদ্ধ, তারপর যা ঘটল, জানলে শিউরে উঠবেন

সেখানে অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গার কাছে পায়ের অবস্থা ঠিক করার জন্য প্রার্থনা করেন। আশ্চর্যজনক ভাবে দ্রুত সেটি ঠিক হয়ে যায়। তখনই দেবী দুর্গার প্রতি রসিক বাবুর আস্থা ও বিশ্বাস জন্মায়। তিনি দেবী দুর্গার ভক্ত হয়ে ওঠেন। নিজের বাড়িতে একটি “মাটির ঘট” রেখে দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে নিত্য পুজো শুরু করেন। তখন থেকেই বাড়িতে শুরু হয় দুর্গাপুজো। তবে সে সময় বাড়িতে কোনও প্রতিমা আসত না। ঘটপুজো করে চার দিন দুর্গাপুজো করা হত।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

পরবর্তীকালে বাবুলালবাবুও একই ভাবে পুজো পরিচালনা করে আসছেন।  প্রায় ১০ বছর আগে ঘটের পরিবর্তে স্বপনবাবু বাড়িতে প্রতিমা পুজো শুরু করেন। এখানে কোন  পুরোহিত নয়, তিনি নিজেই পুজো করেন। পুজোর মন্ত্র পড়া হয় অলচিকিতেই। কিছুটা বাংলাভাষাও থাকে। পুজো চারদিন এলাকায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে। শুধু পুজো নয়, এখানে নবমীর দিন গ্রামে মহোৎসবের ব্যবস্থাও করা হয়। পুজোর বিপুল খরচ জোগাতে পেশায় দিনমজুর স্বপন হাঁসদার পাশে দাঁড়ান ওই গ্রামের পাশাপাশি পাশের জামডোবা গ্রামের বাসিন্দারাও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Durga Puja 2025 : জঙ্গলের প্রাচীন দুর্গাপুজো! আদিবাসীরা করেন দেবী দুর্গার আরাধনা, মন্ত্রোচ্চারণ হয় অলচিকিতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল