এমনই এক শিল্পীর নাম গোরাচাঁদ পাল। দুর্গাপুজো, কালীপুজো-সহ বেশ কিছু সাবেকি পুজোর প্রতিমা নির্মাণে তিনি সিদ্ধহস্ত। আর তাঁর কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বনগাঁর সুরঞ্জন মণ্ডল দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তাঁর তৈরি মূর্তিতেই পুজো করে আসছেন। শান্তিপুর থেকে বনগাঁ বর্তমানে ট্রেন পথ চালু হওয়ার পর অনেকটাই সুবিধা হয়েছে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। তবে এর আগেও শান্তিপুর থেকে রানাঘাট এবং রানাঘাট থেকে বনগাঁ এভাবেই যেতেন মা দুর্গা।
advertisement
আরও পড়ুন: গোটা সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, নাছোড় ঝড়-জলে কবে ভিজবে কোন কোন জেলা? আবহাওয়ার বড় আপডেট
অসাধারণ প্রতিমার রূপ দেখতে প্রতিবছরই ভিড় জমে যায় স্টেশন চত্বরে। মঙ্গলবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন চলছে দেরিতে আর সেই কারণে শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত ভক্তদের আরও বেশি ভিড় প্রতিমা দর্শন করতে।
আরও পড়ুন: জলে ডোবা শহরের ফ্ল্যাট থেকে মা-ছেলের পচাগলা দেহ উদ্ধার, বাঁশদ্রোণীতে তীব্র চাঞ্চল্য!
প্রসঙ্গত, গতকাল রাত থেকে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। বৃষ্টির জলে একাধিক পুজো মণ্ডপ ক্ষতিগ্রস্ত। রেলপথে যাতায়াত বিঘ্নিত হয়েছে রেললাইনে জল ওঠার কারণে। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মা দুর্গাকে লোকাল ট্রেনে বসিয়ে পাঠানো বেশ খানিকটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হলেও সাধারণ মানুষের তৎপরতায় ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গেই লোকাল ট্রেনের বিক্রেতা বগিতে টিকিট কেটেই উঠে পড়লেন দেবী দুর্গা!