এবার পুজোয় হাওড়া ব্রিজ দেখতে পুজো মণ্ডপে বিশাল জনস্রোত হবে বলে আশাবাদী পুজো কমিটি। ওই সর্বজনীন দুর্গাপুজো পরিচালনা করে পলাশডিহা তরুণ সঙ্ঘ। অভিনব থিমে ফের দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে চলেছে তাঁরা। প্রতিবারের মতো এবারও তাঁদের প্রতিমায় থাকছে অভিনবত্ব।
advertisement
পুজো কমিটির সম্পাদক সন্তোষ সামন্ত জানান, চলতি বছর তাঁদের পুজো ৪৯ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। ৩২ বছর ধরে তাঁরা থিমের পুজো করে আসছেন। এর আগে সুতলি দিয়ে প্রতিমা গড়ে নজির গড়েছিলেন। এছাড়াও উল, গাছের মূল, মোবাইল কভার সহ নানান সামগ্রী দিয়ে প্রায় প্রতিবছরই প্রতিমা গড়া হয়। অভিনব ভাবনায় প্রতিমা গড়তেন ক্লাবের সদস্য তথা শান্তিনিকেতনের শিল্পী প্রয়াত বদ্রীনারায়ণ ভট্টাচার্য। বার্ধক্যজনিত কারণে ৭৬ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। সেই সময়ে তাঁর সহযোগী যে ক্লাব সদস্যরা কাজ শিখেছিলেন তাঁরাই বর্তমানে প্রতিমা গড়েন।
এবারের পুজোয় ৮ জন ক্লাব সদস্য বাঁশ, কাগজের মন্ড ও টিস্যু পেপার দিয়ে প্রতিমার কাঠামো তৈরি করছেন। পরিবেশবান্ধব প্রতিমা গড়ে প্রকৃতি দূষণ বন্ধ করার বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা। দূষিত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অসুর। তাঁদের ব্যাখ্যা, ‘অসুর’ প্লাস্টিকের দূষণই জীবজগতকে ধীরে ধীরে শেষ করে চলেছে। তাই পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে তাঁদের প্রতিমা গড়ে উঠছে। প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা ও ৬০ ফুট উচ্চতার বিশাল মণ্ডপ। লোহার অ্যাঙ্গেল ও বাঁশ সহ কাঠের বাটাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে। এবার তাঁদের পুজোর বাজেট প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গত বছর এই কমিটি আমেরিকার ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’র আদলে মণ্ডপ তৈরি করে চমক দিয়েছিল। প্রায় ১০৫ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছিল। কমিটির ওই ৮ জন সদস্য মিলেই খাদ্যশস্য দিয়ে প্রতিমা গড়েছিলেন। এবার তাঁরাই হাওড়া ব্রিজের আদলে প্যান্ডেল ও টিস্যু পেপার-খবরের কাগজ দিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরি করে দর্শনার্থীদের চমক দিতে চলেছেন।