১৪ বছর আগে এক ছুটির সকালে চায়ের আড্ডা থেকে দুর্গাপুজোর ভাবনা। প্রথা মেনে অধিকাংশ স্থানে দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হলেও, খাটুয়া বাড়িতে তা হয় দ্বাদশীতে। প্রথম পুজোটি আয়োজিত হয় মাত্র ২০-২২ দিনের মধ্যে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর খাটুয়া বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। এই পরিবারের পুজোতে ব্যবহার হয় সমুদ্রের জল, নদীর জল, ঝর্ণার জল, বৃষ্টির জল, শিশির, রাজবাড়ির মাটি, দেবালয়ের মাটি, চৌরাস্তার মাটি, গবাদি পশুর গোচারণ মৃত্তিকা সহ নানান উপকরণ।
advertisement
আরও পড়ুন : পুজো নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত, তখন এখানে চলছে বিশাল রথযাত্রার আয়োজন! কী হচ্ছে বলুন তো?
পঞ্চমীর দিন বেলগাছের তলায় বেদি স্থাপন করে দেবীর বোধন করা হয়। প্রতিদিন দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয় এবং অঞ্জলি দিতে আসেন গ্রামের মানুষজন। অষ্টমীর দিন গোটা গ্রাম একত্রিত হয়ে খিচুড়ি ও পায়েস খাওয়ার চল রয়েছে। প্রথা মেনে অধিকাংশ স্থানে দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন হলেও, খাটুয়া বাড়িতে তা হয় দ্বাদশীতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিমা নিরঞ্জনের পর মিষ্টিমুখ করানো হয় গ্রামের সকল মানুষকে। পারিবারিক হলেও এই পুজো আজ প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন। যেখানে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ খাটুয়া বাড়ির দুর্গাপুজোকে করেছে বিশেষ সমৃদ্ধ।