প্রায় চার দশক ধরে কাঁথির এই দুর্গাপুজো মানুষের মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে। এই বছর সেই পুজো পদার্পণ করল ৩৭ বছরে। সেই দীর্ঘ পথচলার প্রতিটি বছরেই দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন উদ্যোক্তারা। আর তাই এই বছরের থিমের ভাবনাও একেবারে ভিন্ন। শুধু বাহ্যিক সাজ নয়, বরং সাধারণ মানুষকে মানসিক চাপ থেকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া এবং উৎসবের আবহে সকলকে একত্রিত করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরের ছেলে স্টেশনে নামতেই রেড কার্পেট বিছিয়ে সংবর্ধনা! সত্যিকারের ‘হিরো’-কে ঘিরে উচ্ছ্বাস
‘উৎসব’ থিমের বিশেষত্ব হল এর কাঠামো। মণ্ডপের ভিত্তি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ লোহার উপর। বিভিন্ন আকৃতির লোহার পাইপ দিয়ে সাজানো হচ্ছে পুরো কাঠামো। শিল্পীদের সৃজনশীলতার ছোঁয়ায় মণ্ডপে ধরা দিচ্ছে অভিনব নকশা। সন্ধে নামলেই আলোর খেলা পুরো পরিবেশকে করে তুলবে আরও মনোমুগ্ধকর। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আসা শিল্পীদের হাতের তৈরি শৈল্পিক সামগ্রী থাকবে মণ্ডপের বিভিন্ন কোণায়। থিমের আবহ বজায় রাখতে প্রতিমাও সাজানো হচ্ছে মানানসই রূপে, যা দর্শনার্থীদের মনে গভীর ছাপ ফেলবে।
এখানের পুজোর প্রস্তুতি এখন বলতে গেলে শেষ পর্যায়ে। কাঠামো প্রায় সম্পূর্ণ, আলো বসানোর কাজ চলছে জোরকদমে। দিন-রাত এক করে শিল্পীরা কাজ করে যাচ্ছেন থিমকে বাস্তবে রূপ দিতে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, এই বছরের থিম দর্শকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। শুধু কাঁথি নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও হাজার হাজার মানুষ আসবেন এই পুজো দেখতে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়াই হবে তাঁদের সাফল্যের আসল প্রমাণ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি এক সামাজিক মিলনক্ষেত্র। চারদিনের জন্য মানুষ সব দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। সেই আনন্দকে আরও অর্থবহ করে তুলতেই আদি আঠিলাগড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এবারের প্রচেষ্টা। উদ্যোক্তাদের আশা ‘উৎসব’ থিম মানুষের মনে আনন্দ ছড়িয়ে দেবে। আর সেখানেই ধরা দেবে এই বছরের পুজোর সার্থকতা। মানুষকে যদি কিছুটা সময়ের জন্য হলেও চাপমুক্ত করা যায়, তবে এই উদ্যোগ সফল হয়েছে বলে মনে করবেন, এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।