মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া বাগবন্দী, কানামাছি, ডাংগুলি, এক্কা-দোক্কা ও কিতকিত এর মত নানান খেলার চরিত্রগুলি। বর্তমান প্রজন্ম হয়ত এই শব্দগুলি শোনেওনি, কখনও খেলেওনি । পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম ভারতী সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো। তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে প্রতিবছর।
advertisement
আরও পড়ুন : একটা প্রতিমা শুকনো করতেই শেষ পুরো সিলিন্ডার, কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া! শিল্পীদের ঘুম নেই
দর্শনার্থীদের ঠাসাঠাসি ভিড় থাকে পুজোর দিনগুলিতে। গত বছর বিশাল আকৃতির কাঠের প্রতিমা গড়ে প্রথমবার বিগ বাজেটের পুজো করে চমক দিয়েছিল ওই পুজো কমিটি। প্রথমবারই জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষার্থে সমাজে সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে থিম গড়েছিল “জল সংরক্ষণ”। তাঁদের পুজো চলতি বছরে ৫৪ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। তাঁদের এবারের পুজোর বাজেট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন : অতিভারী বৃষ্টি হয়নি, তবুও হু-হু করে বইছে জল! বাঁকুড়া আর পুরুলিয়া ডুবিয়ে দিল ‘এই’ জেলাকে
পুজো কমিটির সম্পাদক রমেন্দ্রনাথ ভাট্টাচার্য জানান, আমরা ছেলেবেলায় যে খেলাগুলি খেলে বড় হয়েছি সেসব খেলার নামই শোনেনি বর্তমান প্রজন্ম। পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ, কো ক্যারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস, মোবাইল ফোনের আসক্তি ইত্যাদি নানান কারণে সেসব খেলাগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা পুজোর এই থিমের মাধ্যমে সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা প্রদান করতে চলেছি। তাঁদের পুজোতে প্রায় ৪০ জন মহিলা সদস্য রয়েছেন। যাঁরা দশভূজার মত পুজোর আয়োজন থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পুজোর দিনগুলি চরম ব্যাস্ত থাকেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো প্রতিটি দিন মণ্ডপ চত্বরের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার শিশুদের প্রতিভা প্রদশর্নের জন্য দুটি দিন মঞ্চ ছেড়ে দেওয়া হয়। এখানে বিশেষ আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান থাকে “কে হবেন পাড়ার সেরাদিদি নম্বর – ১”। মণ্ডপ সজ্জার পাশাপাশি আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়ে ওঠে মণ্ডপ চত্বর। এবারের তাঁদের থিম গড়ে তুলছেন দুর্গাপুরের শিল্পী পরিতোষ সিকদার। ইতিমধ্যেই মণ্ডপের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটির প্রতিটি সদস্যদের দৃঢ় বিশ্বাস দুর্গাপুর সহ বাইরে থেকে আসা সকল দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে এবারের প্রতিমা থেকে মণ্ডপসজ্জা।