খনি অঞ্চলের এক নম্বর শিরোপা ছিনেয়ে নিতে তৎপর ওই পুজো কমিটি। দুর্গাপুর শহরে প্রায় ২৫টি বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো হয়। চলে থিম পুজোর হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা। ব্যাপক ধুমধামের সঙ্গে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে হয় পুজোর কার্নিভাল।
advertisement
শহরের বিগ বাজেটের পুজো দেখতে খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বর, অণ্ডাল, জামুড়িয়া, লাউদোহা-সহ আসানসোল থেকেও ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। তবে এবার নজীরবিহীন ভিড় হবে দিঘার জগন্নাথ ধাম মণ্ডপ দেখতে, আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের পুজো ৩৮’তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলছে। পুজোকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ চত্বরে বিশাল মেলা বসে। চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন হয়।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ
পুজোর প্রতিটি দিন সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান হয়ে থাকে। এলাকাবাসী-সহ দূরদুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেন ওই পুজো কমিটি। মণ্ডপের পাশাপাশি আকর্ষণীয় দুর্গা প্রতিমাও দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে প্রতিবছর। পুজো কমিটির সম্পাদক কাঞ্চন ঘোষ জানান, প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও পুজোয় থাকছেন নানান চমক।
আরও পড়ুনঃ ফেলে দেওয়া নারকেলের মালা পাচ্ছে মা দুর্গার রূপ! গৃহবধূর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ‘অনন্য’ প্রতিমা দর্শন
প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বাজেটে হচ্ছে এবারের পুজো। পুজোর চার দিন থাকছে নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোকে ঘিরে এলাকায় বসে মেলা। পুজো মণ্ডপটির উদ্বোধন করবেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সপ্তমী থেকে একাদশী পর্যন্ত এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। কোলিয়ারীর এই দুর্গা পুজো উপলক্ষে এলাকায় যেমন মেলা বসে, তেমনই হাজার হাজার মানুষের ভিড় যেন এক মানবমেলার রূপ নেয়। প্রায় এক মাস ধরে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। মণ্ডপ শিল্পীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করছেন মণ্ডপ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো কমিটির আশা, এবারের এই মণ্ডপ দেখতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ তাদের পুজো মণ্ডপে ভিড় করবেন। খনি অঞ্চলের বিগ বাজেটের এই পুজোয় নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে তৎপর থাকে ফরিদপুর থানার পুলিশ। এছাড়াও এলাকার তৃণমূল কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যক্তিরাও পুজোর সমস্ত কর্মকাণ্ড সুনিশ্চিত করতে তৎপর হন।