মণ্ডপের কাঠামো গড়ে উঠছে বদ্রিনাথ মন্দিরের আদলে। উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত এই বিখ্যাত তীর্থস্থানকে সামনে রেখে শিল্পীরা দিন-রাত এক করে মণ্ডপ নির্মাণের কাজে ব্যস্ত। পর্যটকরা যাতে সময় মত এই মণ্ডপ দেখতে পান, সেই কারণেই চলছে জোরকদমে কাজ। পুজোর উদ্বোধনের আগেই যাতে সব কাজ শেষ হয়, তার জন্য কারিগরদের তৎপরতা চোখে পড়ার মত। শুধু মণ্ডপ নয়, প্রতিমাতেও রাখা হয়েছে অভিনবত্ব। দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়া হচ্ছে বদ্রিনাথের আবহের সঙ্গে মানানসই আঙ্গিকে। সারা মণ্ডপ ও প্রতিমার সমন্বয়ে যেন দর্শনার্থীরা পাহাড়ি তীর্থের এক ঝলক উপভোগ করতে পারেন, সেই দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : অতিথিদের ভিড়ে জমে উঠেছিল আসর, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব উল্টে দিল কনে! নাবালিকার কাণ্ড অবাক করবে
দর্শনার্থীরা ঢুকেই বুঝতে পারবেন, তারা যেন সমুদ্র শহর নয়, বরং হিমালয়ের কোলে পৌঁছে গিয়েছেন। এবারের বাজেটও যথেষ্ট চমকপ্রদ। প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে পুরো আয়োজনে। বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে মণ্ডপ ও প্রতিমার কাজে, পাশাপাশি আলোকসজ্জা ও সাউন্ড সিস্টেমেও থাকছে নতুনত্ব। রাতে বদ্রিনাথের রূপে সেজে উঠবে দিঘার বুকে এক টুকরো হিমালয়। দিঘা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোক্তাদের কথায়, “আমরা চাই দিঘায় আসা প্রতিটি মানুষ যেন ভিন্ন অভিজ্ঞতা পান। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে বদ্রিনাথের রূপ মিলিয়ে এক অনন্য স্মৃতি নিয়ে ফিরুন তাঁরা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলে, এবারের দুর্গাপুজোতে দিঘা শুধু সমুদ্রতীরের আনন্দে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বদ্রিনাথের মন্দিরের আদলে তৈরি এই মহামণ্ডপ নিঃসন্দেহে পর্যটকদের টানবে ভিড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক—সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই নতুন চমক দেখার জন্য।





