বহু বছর আগে পুরুলিয়া শহরের এক সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নীচু জাতি হওয়ায় অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষদের। সেই অপমানের জবাব দিতে তাঁরা নিজেরাই জমিদান করেন। পারিশ্রমিকের টাকা জমিয়ে তিল তিল করে গড়ে তোলেন এই দুৰ্গামন্দির। রীতি মেনে ষষ্ঠীর দিন থেকে মায়ের আরাধনা শুরু হয়।একাদশীর দিন হয় বিসর্জন। এই বিসর্জনের দিন রাখা হয় আতশবাজির প্রতিযোগিতা। কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে স্বামী নারায়ণ মন্দির! শহরের বিগ বাজেট পুজোয় বড় চমক, কোথায় তৈরি হচ্ছে জানুন
এই বিষয়ে ধীবর সমিতির সম্পাদক চন্দ্রচূড় ধীবর বলেন, তাঁদের পুজো এই বছর ৯৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রতিবছর ধুমধাম করে এই পুজো পালিত হয়। এই বছরও ব্যতিক্রম হবে না। জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি চলছে। সরকারি অনুদান ছাড়া তাঁরা কারোও কাছ থেকে কোনও চাঁদা সংগ্রহ করেন না। ৪৭টি ধীবর পরিবার মিলে এই পুজো সম্পন্ন করেন।
এই বিষয়ে পুরুলিয়া শহরের এক বাসিন্দা বলেন, শহরের বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই দুর্গাপুজো। প্রতিবছর এই পুজো দেখতে আসেন। খুবই জনপ্রিয় দুর্গাপুজো এটি।
প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর দেড়-দুই মাস আগে থেকেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। পুজোর দিনগুলিতে শুধু রাজ্য বা জেলা নয় প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোনও চাঁদা তুলে এই পুজোর আয়োজন হয় না। মা দুর্গার নামে যে সকল পুকুর রয়েছে, সেই পুকুরের মাছ বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন হয় তা দিয়েই এই পুজোর আয়োজন করা হয়। জেলার মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে এই জেলেপাড়ার দুর্গাপুজো।