এই পুজো নিজেদের অনন্য থিম ভাবনার জন্য হুগলি জেলাজুড়ে বরাবরই বিশেষ পরিচিত। প্রতি বছরই একটি সামাজিক বার্তা নিয়ে তাঁদের থিম প্রকাশ পায়। গত বছর প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে মনোমুগ্ধকর মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল, যা সকল দর্শনার্থীর হৃদয় জয় করে। এই বছর তাঁদের ভাবনা, ‘নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়’। এই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই সম্পূর্ণ লোহার কাঠামোর ফ্লাইওভার তৈরি হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘরের কাছেই একটুকরো রাজস্থান! মহল থেকে উট কী নেই! সময়-খরচ বাঁচিয়ে ‘এখানে’ গিয়ে দেখে আসুন
পুজোর থিমে আধুনিকতার ছোঁয়া। মণ্ডপসজ্জার শিল্পী জানান, ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কাঠ, প্লাই ও সম্পূর্ণ লোহার ফ্রেম দিয়ে তৈরি এই সজ্জায় মানুষের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আধুনিকতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ এই থিম একদিকে যেমন নতুনত্বের বার্তা দেবে, তেমনই প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার কথাও ফুটিয়ে তুলবে।
শিল্পীর কথায়, “আজকের ব্যস্ত জীবনে আমরা অনেক সময় নিচুতলার মানুষদের কথা ভাবতে ভুলে যাই। আমাদের এই মণ্ডপ সেই বাস্তবতাকে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরবে। বিশেষ করে শিশু ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কথা ভেবে আমরা এই ভাবনাকে প্রকাশ করছি। দর্শনার্থীরা মণ্ডপ দর্শনের সময় একটি বিশেষ অনুভূতি বা বার্তা উপলব্ধি করবেন, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
কমিটির সদস্য অসমঞ্জ চট্টোপাধ্যায় জানান, “এই বছর শিল্পীর ভাবনা দর্শনার্থীদের হৃদয়ে নাড়া দেবে বলে আমরা আশাবাদী। সমাজে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষের কাছে ছোট ছোট বার্তা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, এবার প্রতিমার মধ্যেও থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া। বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী সৈকত বসু প্রতিমা নির্মাণ করছেন, যা দর্শনার্থীদের মন ছুঁয়ে যাবে।
পঞ্চাননতলা দুর্গাপূজা কমিটির এবারের দুর্গোৎসবের বাজেট ধরা হয়েছে আনুমানিক ১৮ লক্ষ টাকা। চতুর্থী থেকেই জনসাধারণের জন্য মণ্ডপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সামগ্রিকভাবে এই বছরের থিমে যেমন অভিনবত্বের ছোঁয়া রয়েছে, তেমনই সামাজিক বার্তাও স্পষ্ট। চুঁচুড়ার পঞ্চাননতলা দুর্গাপূজা কমিটি আবারও দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।