পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেমন মণ্ডপে বাঁশ, পাটের বস্তা ও নারকেলের দড়ি ব্যবহার করে কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে, তেমনভাবেই ধীরে ধীরে গ্যাস লাইটারের ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যাওয়া দেশলাই শিল্পকে পুনর্জীবিত করার প্রয়াসেই দেশলাই কাঠি দিয়ে প্রতিমা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দেশলাই কাঠির বারুদ দিয়ে দেবীর মাথার চুল, গয়না তৈরি হয়েছে। শুধু মা দুর্গা নন, এভাবে মহিষাসুর, সিংহ, এমনকী সাপও বানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : ঢাকের আওয়াজে মাতবে মণ্ডপ, কিন্তু কুড়েকুড়ে খাচ্ছে ভয়! ভিনরাজ্যে পা বাড়ানো ঢাকিদের বুক কাঁপছে
তিন মাস ধরে তৈরি হচ্ছে এই প্রতিমা। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ব্যারাকপুর সর্বপল্লী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বিভাশ সরকারের বাল্যবন্ধু জ্যোতির্ময় বনিককে দিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় এই প্রতিমা গড়ার জন্য রাজি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে দেশলাইয়ের প্রতিমা ঘিরে। অন্যদিকে শিল্পী জ্যোতির্ময় বনিক জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রতিমা তৈরির কাজে যুক্ত। এর আগেও দেশলাই কাঠি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে উত্তরবঙ্গে সাড়া ফেলে দিয়ে ছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবার তাই দক্ষিণবঙ্গের ব্যারাকপুরেও শিল্পীর সৃষ্টি মানুষের নজর কাড়বে বলেই আশা। প্রতিমা তৈরিতে সহযোগিতা করছেন পুজো কমিটির বড় থেকে ছোট সব সদস্যরাই। এমনকি খুদে সদস্যরাও শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়ে দেশলাই কাঠি ভাঙতে সহযোগিতা করছে জ্যোতির্ময়বাবুকে। শিল্পীর ভাষায়, এই সহযোগিতার অভিজ্ঞতা তার প্রতিমা গড়ার আনন্দকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দেখার দেশলাই কাঠি দিয়ে তৈরি প্রতিমা কতটা সারা ফেলে এবারের দুর্গাপুজোয়।