অগ্রদ্বীপের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কাঠ খোদাইয়ের ছবি। এখানকার শিল্পীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাঠ কেটে তৈরি করে চলেছেন পেঁচা, রাজারানি থেকে শুরু করে পুতুল সহ নানা শিল্পকর্ম। বিশেষত কাঠের পেঁচা অগ্রদ্বীপের এক আলাদা ঐতিহ্য। এই শিল্পকর্মের জনপ্রিয়তা কলকাতা থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারের পুজোয় অগ্রদ্বীপের শিল্পী তৈরি করছেন ভিন্ন ধরণের শিল্পকর্ম।
advertisement
খ্যাতনামা শিল্পী অক্ষয় ভাস্করের নাম শুধু অগ্রদ্বীপেই নয়, গোটা দেশে এক অনন্য মর্যাদা পেয়েছে। তাঁর হাতে তৈরি শিল্পকর্ম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে। কাঠের সাধারণ টুকরো যেন তাঁর ছোঁয়ায় প্রাণ পেয়ে ওঠে। সেই অক্ষয় ভাস্করের হাতেই এবার তৈরি হচ্ছে এক নতুন ধরণের কাষ্ঠপুতুল। শুধু পেঁচা বা রাজারানি নয়, বরং এখানে ফুটে উঠছে বাংলার গ্রামীণ ও আদিবাসী সংস্কৃতির জীবন্ত ছবি। কেউ বাঁশি বাজাচ্ছে, কেউ ধামসা-মাদল নিয়ে নেচে উঠছে, কেউ আবার দল বেঁধে নাচ-গান করছে- কাঠের খোদাই করা পুতুলে এমন নানা দৃশ্য ধরা পড়েছে।
অক্ষয় ভাস্করের হাতের জাদুতে কাঠের নিস্তব্ধ টুকরো যেন হয়ে উঠছে প্রাণবন্ত। শিল্পী নিজেও বলছেন, ‘প্রতি বছর পুজোকে কেন্দ্র করে অনেক অর্ডার আসে। কিন্তু এবারের অর্ডার একেবারেই আলাদা। এমন কিছু বানানোর সুযোগ আগে আসেনি। কাজ করতে গিয়ে আমি ভীষণ আনন্দ পাচ্ছি’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কলকাতার এক নামী পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীরা এবার দেখতে পাবেন এই অসাধারণ কাষ্ঠশিল্পের ছোঁয়া। শুধু মণ্ডপসজ্জা নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে থাকবে পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ গ্রামের ঐতিহ্য, শিল্পীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিল্পসত্ত্বার উজ্জ্বল প্রকাশ। দুর্গাপুজো মানেই আলো, রঙ ও আনন্দ। সেই আনন্দের মেলায় এবার যোগ হচ্ছে বর্ধমানের মাটির গন্ধ মাখা কাষ্ঠশিল্প। মণ্ডপে ঢুকেই তা স্বচক্ষে দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা।