তবে দেশভাগের পর পরিবারের সদস্যরা এপার বাংলায় চলে আসলে, ওই পূজোর স্থানের মাটি নিয়ে আসেন সঙ্গে করে এবং সেই মাটি রেখেই সেখানে মন্দির স্থাপন করে চালু হয় দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজোয় পুরোটাই হয় কৃষ্ণ মতে। দুর্গার বিশেষত্ব বলতে যেখানে আর দশ জায়গায় প্রতিমার ডানদিকে থাকে গণেশ এবং বাম দিকে থাকে কার্তিক সেই জায়গায় এই বাড়ির দুর্গা পুজোয় দেখা যায় উল্টো প্রতিমা। দেবীর ডান দিকে রয়েছেন কার্তিক এবং বাম দিকে রয়েছে গণেশ।
advertisement
যদিও পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম যখন পুজো চালু হয় তখনই নাকি মূর্তি গড়ার সময় এই অদল বদল হয়েছিল। তারপর থেকেই সেই রীতিমেনে সাহাবাড়ির পূজোয় এই বিশেষ প্রতিমা তৈরি করেই হয় পূজো। ঠাকুরদালানেই মৃৎশিল্পীরা প্রতিবছর আস্তে আস্তে প্রতিমা গড়ে তোলেন, পরে রঙের প্রলেপ। পুজোর ক’দিন সমস্ত আত্মীয়-স্বজনই ভিড় করেন এই সাহা বাড়িতে। পুজোর প্রসাদ হিসেবে লুচি পায়েস খাওয়ানো হয় আগত ভক্তদের।
তবে প্রসাদের পাশাপাশি খাওয়ারও আলাদা বন্দোবস্ত থাকে এবং তা পুরোটাই সামাল দেন বাড়ির মহিলারা। এবছর ১০০ বছর হওয়ার কারণে বেশ কিছু সামাজিক কাজেরও পরিকল্পনা রয়েছে পরিবারের তরফে। ফলে সেভাবে বাইরের বারোয়ারি ঠাকুর দেখতে যাওয়া হয়না বলেই জানালেন পরিবারের মহিলা সদস্যরা। সব মিলিয়ে সাহাবাড়ির ১০০ বছরের পূজোকে ঘিরে মেতে এলাকাবাসীরাও।
Rudra Narayan Roy