পঞ্চম বছরেও পুজোর আয়োজন চলছে জোরকদমে। বৃষ্টির কারণে আয়োজনে খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু সবাই মিলে পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে এগিয়ে এসেছেন। ঢাকের তালে কোমর দোলানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন যৌনকর্মীরা। কিন্তু তার মধ্যেও রয়ে গিয়েছে চাপা উৎকণ্ঠা। বৃষ্টির কারণে পুজোর আনন্দ মাটি হবে না তো, এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের মধ্যে। পুজোর আগে টানা বৃষ্টিপাত, নিম্নচাপ চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এই হাটে পাওয়া যাচ্ছে কম দামের জামদানি, পুজোয় ব্যাপক চাহিদা
এই দুর্গাপুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা এবং দুর্বার সমিতির সভাপতি মর্জিনা শেখ বলছেন, একসময় এখানকার যৌনকর্মীরা পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতেন। সমাজের বড় অংশ তাদের অন্য চোখে দেখত। অথচ এই যৌনপল্লীর মাটি ছাড়া দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না। যৌনকর্মীরা নিজেদের কর্ম করে উপার্জন করেন। তা সত্ত্বেও পুজোর আনন্দ থেকে তাদের দূরে থাকতে হত। সেই থেকেই দিশা যৌনপল্লীতে দুর্গাপুজোর আয়োজন শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, যৌনপল্লীর এই দুর্গাপুজোর জন্য অনেকেই এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। যৌনকর্মীরা নিজেদের সাধ্যমত এখানে অর্থ সাহায্য করেন। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বহু মানুষ বর্তমানে এই পুজোর জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়াও রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান যৌনপল্লীতে উৎসবের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সকলে মিলে সাধ্যমত পুজোর আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থনা শুধু একটাই বৃষ্টিতে যেন পুজো মাটি না হয়।
নয়ন ঘোষ