প্রাণকৃষ্ণ বাবু আমাদের বলেন প্রথাগতভাবে প্রতিমা গড়ার বা মাইক্রো পেইন্টিং এর কোনও প্রশিক্ষণ তিনি নেননি। ছোটবেলা থেকেই ব্যতিক্রমধর্মী জিনিস নিয়ে প্রতিমা গড়ার ও অন্যান্য ঋষি মনীষীদের ছবি তৈরির শখ ছিল। এই প্রতিমা গড়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করেছেন।
আরও পড়ুন: কোন দেশে ভারতীয় ‘১টাকা’ ৫০০ টাকার সমান হয় জানেন…? ‘নাম’ শুনলেই চমকাবেন, শিওর!
advertisement
এর আগেও তিনি সুপারির উপর আঁকা রাষ্ট্রপতি ভবন উপহার দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। অনেক দিন ধরেই রামপুরহাটের শিল্পী প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দির ইচ্ছা ছিল তাঁর এই অনবদ্য সৃষ্টি খোদ রাষ্ট্রপতির হাতেই তুলে দেবেন। সেই মতো তিনি কাজ করেছিলেন। তবে এবার তিনি সুপারির উপর বানালেন মা দুর্গার ছবি।
আরও পড়ুন: চুম্বকের মতো টেনে আনে ‘সাপ’…! এই চার ‘গন্ধ’ বিষধরের জন্য ‘অমৃত’ সমান, এখনই দূর করুন!
প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দী বাবু জানান সুপারির উপর তার এই কারুকর্যটি ফুটিয়ে তুলতে সময় লেগেছে প্রায় আট ঘণ্টার কাছাকাছি। একটি অর্ধেক সুপারির মধ্যে খুব সূক্ষ্ম ভাবে তিনি রং তুলির মাধ্যমে ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে এবার প্রশ্ন তার এই রং তুলির ছবি কোথায় দেখতে পাওয়া যাবে? এ বিষয়ে তিনি জানান পুজোর চার দিন কলকাতার শ্যামবাজারের একটি বড় পুজো মন্ডপে তার এই শিল্পকর্ম প্রদর্শন হবে। অন্যদিকে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শন সালাই অক্টোবর মাসের ১১-১২ এবং ১৩ তারিখ দুপুর ২ টো থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত সুপারির উপর মা দুর্গার শিল্পকলা প্রদর্শনী হবে।
প্রাণকৃষ্ণ বাবু আরও বলেন আগামী দিনে তাঁর ইচ্ছে এর আগে তার হাতের তৈরি যে সমস্ত শিল্পকলা বিভিন্ন সংগ্রহশালায় রয়েছে যেমন ন্যাশনাল মিউজিয়াম, পার্লামেন্ট মিউজিয়াম, এবং রাষ্ট্রপতি মিউজিয়াম, সেই সমস্ত মিউজিয়ামে তিনি আগামী দিনে তাঁর হাতের তৈরি আরও কারুকার্য সেই মিউজিয়ামে পৌঁছে দিতে চাইছেন।
সৌভিক রায়





