প্রতিদিন বেশ ভাল ভিড় জমে। অষ্টমী হোক কিংবা দশমী, নিষ্ঠাভরে দেবী মহামায়ার আরাধনা করেন সকলে। প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে সম্পূর্ণ নিয়ম, রীতি ও সময় মেনে দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতেন প্রত্যেকে। বেলদার ধর্মশালা সর্বজনীন প্রায় ১১০ বছরের পুরনো পুজো। পুজোর তেমন ইতিহাস না থাকলেও, জানা যায়, তৎকালীন এই এলাকা ছিল নন্দ পরিবারের অধীনে। নন্দ ট্রাস্টের সম্পতির উপর তৈরিও নন্দদের তৈরিবেলদা গঙ্গাধর ধর্মশালায় আরাধনা শুরু হয় দেবীর।
advertisement
কথিত, প্রায় ১০৭/৮ বছর আগে এলাকার বড় দুর্গাপুজো বলতে ছিল কৃষ্ণপুর এলাকার অভিজাত জমিদার বাড়ির পুজো। এরপর ব্যবসায়ীরা নিজেদের উদ্যোগে সাধারণের জন্য তৈরিএই ধর্মশালায় দুর্গাপুজার প্রচলন করেন।আরও শোনা যায় দুর্গা নয়, এখানে দুর্গাপুজো শুরুর অনেক আগে থেকে দেবী বাসন্তী পূজিতা হতেন। প্রসঙ্গত, প্রায় ১২০ বছর, কি তারও আগে পুরীগামী তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছিল ধর্মশালা। তীর্থযাত্রীরা এখানে এসে রাত্রিবাস করতেন।তবে এখনও রীতি মেনই বছরে পাঁচদিন পুজো হয়।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই রাধাষ্টমী! এই ছোট্ট কাজেই হাসবে সৌভাগ্য! শীঘ্র সাফল্য পাবেন বিবাহে
তবে ধর্মশালা নাম থাকলেও কাজে আর নেই।এখন এখানে নানা দোকান বসে।তবে পুজোর দিন তা পরিষ্কার করে মহামায়ার আরাধনায় মাতেন সকলে। অষ্টমীর সকালে বেশ ভিড় জমে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য।তবে সাধারণ খোল কীর্তনেই পুজো হয় ধর্মশালায়।যে পুজোতে শুধু বেলদা নয়, পার্শ্ববর্তী প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমান।