আরও পড়ুনঃ মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস রোজ সকালে খালি পেটে খাচ্ছেন? জানুন এর ফলে আপনার শরীরে কী হচ্ছে!
তবে, রসের উপর রঙ ধরানো ছিল খুবই কঠিন কাজ। এই শিল্প ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকবার নষ্টও হয়ে যায় রসগোল্লার ক্যানভাস। তবু হাল ছাড়েননি তিনি। অবশেষে মেলে সফলতা। খালি চোখে দেখে অতটা স্পষ্ট বোঝা না গেলেও, আতস কাঁচ ধরতেই ফুটে উঠছে নিখুঁত হাতের দেবী মূর্তি। আর এই শিল্প সৃষ্টি করেই এখন রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অশোকনগরের শিল্পী। ছোটবেলা থেকেই বাসুদেব বাবুর সখ ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম জিনিসের ওপর ছবি ফুটিয়ে তোলা। এর আগেও তিনি চাল, ডাল, বিভিন্ন বীজের উপর নানা ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। শিল্পীর এমন দক্ষতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-ও। ইতিমধ্যেই তার এই রসে ভরা রসগোল্লার উপর মা দুর্গার মূর্তির ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
advertisement
শুভ কাজে ব্যবহার করা এই রসগোল্লার উপর শিল্প সৃষ্টি করতে পেরে খুশি শিল্পী বাসুদেব পাল নিজেও। তবে এখন রসগোল্লার উপর পিঁপড়ের উপদ্রব ঠেকাতে বাসুদেববাবু বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করছেন এই মিষ্টিকে বলেও জানান। তবে আর্থিক সামর্থ্য না থাকার কারণে অধরাই রয়ে গিয়েছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলা। তাই শিল্পী চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিশেষ কোন শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলে যাতে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ওঠে তাঁর নাম। বাসুদেববাবু বর্তমানে প্রিন্টিং এর কাজ করে চালান সংসার। তবে সরকারের তরফ থেকে এ ধরনের শিল্পীদের যদি বিশেষ সাহায্য করা হয়, পাশাপাশি এই ধরনের শিল্পকে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় তবে আগামী প্রজন্মও সাক্ষী থাকতে পারবে বলেও আশা শিল্পীর। গোটা পাল পরিবারই এখন রীতিমতো শিল্পীর এমন দক্ষতায় গর্বিত।
Rudra Narayan Roy