অনেকেই মায়ের পদচিহ্ন স্পর্শ করে আশীর্বাদ নিচ্ছেন। ষষ্ঠীর পুজোর আগেই এই ঘটনা, যে ঘটনা স্থানীয় মানুষ অলৌকিক বলেই মনে করছেন। ঠাকুরের পুকুর থেকে ঠাকুর দালানের দূরত্ব ৫০ থেকে ৬০ মিটার হবে। গোটা এলাকা জুড়ে থিক থিক করছে মানুষের ভিড়। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার পেঁড়ো’র গড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতোই পেঁড়োগড়ে রায় ও চ্যাটার্জী বাড়িতে পুজো উপলক্ষে চরম ব্যস্ততা। এখানে পুরনো রীতি মেনে পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে পুজো শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর মুখেই দুঃসংবাদ মানিকের জীবনে, তুমুল হতাশা জেলে! কী এমন ঘটল?
পঞ্চমীর দিনও যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী পুজোর আয়োজন চলে, এবারও তাই। নিয়ম মত বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর দিন কাজ শেষে ঠাকুর দালানের মেন দরজার চাবি পড়ে যায় রাত্রে। এ পর্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। তবে ষষ্ঠীর সকালে যা ঘটনা ঠাকুরদালানে দেখা মিলল তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না কেউ।প্রতিদিনের মত সেবাইত তাপসী এসে পৌঁছয় শ্রী শ্রী জয়দুর্গা লক্ষীনারায়ণ জিউ গংদেবত্তর এস্টেট ঠাকুর দালানে। হঠাৎ তার নজরে আসে ঠাকুর দালানের বন্ধ দরজার ভিতর এলিয়ে পড়ে রয়েছে একটি শাড়ি। রয়েছে ঠিক ঠাকুর বেদীর পাশের ঘরের দোরগোড়ায়। যে ঘরে দেবী দুর্গার ধাতু মূর্তি বিরাজমান তার সামনে। সেখানেই নৃত্য পুজো দেওয়া হয়। একেবারে দরজা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে আলতা পায়ের চিহ্ন। সেই খবর পৌঁছয় রায় ও চ্যাটার্জী বাড়িতে। পরিবার সদস্যরা এসে দেখেন। স্নান ঘাট থেকে আলতা পায়ের চিহ্ন শুরু হয়ে ঠাকুরদালান হয়ে দেবী ঘরের দোরগোড়া পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এবারে যা ঘটলতা অকল্পনীয়। স্নানের ঘাটে পড়ে রয়েছে একটি আলতা পাড়ের শাড়ি। সেখান থেকেই স্পষ্ট আলতা পায়ের চিহ্ন শুরু। ঠিক যেন স্নান সেরে ওঠা। স্নান ঘাট থেকে ঠাকুর দালান পর্যন্ত প্রায় ১১৮ টি পদচিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন নিজের আইনজীবী, মামলায় স্থগিতাদেশ চাইলেন মহুয়া মৈত্র! বেজায় চাপে TMC সাংসদ
এই খবর জানাজানি হতেই গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে মানুষের ঢল নামে গড়ে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে এই বিজ্ঞানের সময় এটাও কি সম্ভব। হতে পারে এটি লৌকিক ঘটনা। তবে তারা মনে করছে লৌকিক ঘটনা হলে বন্ধ দরজা ভেদ করে কীভাবে মানুষঠাকুরদালানে প্রবেশ করল। আবার যদি মানুষই হবে তাহলে ঠাকুর দালানে প্রবেশ করার পর সেখান থেকে ফিরে আসার কোন পদচিহ্ন নেই কেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে নানা কৌতহল। সকালে কয়েক ঘন্টার মধ্যে খবর জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। নেট মাধ্যমেও এই ছবি শেয়ার হতে থাকে। তবে এই ঘটনা লৌকিক নাকি সত্যিই অলৌকিক,এর কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
—— রাকেশ মাইতি