ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে অনেকগুলো ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক মা দুর্গার মন্দির রয়েছে, প্রতিটি মন্দিরের পিছনে একটা করে ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। ঠিক একইরকম ভাবে লালগড়ের মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরেরও একটা ইতিহাস রয়েছে। এই মন্দিরের ইতিহাস জানতে গেলে রাজ আমলের কিছুটা গল্প খুঁজে পাওয়া যায়। তৎকালীন রানির হাতে পুকুরের জল থেকেই নাকি উঠে এসছিলেন মা সর্বমঙ্গলা। অন্তত এমনটাই কথিত রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে এখনও ভাল ও সৎ মানুষ অবশ্যই রয়েছেন, যেমন সিন্টু ঘোষাল! চিনুন তাঁকে
রানি সেই মূর্তিকে নিয়ে এসে ঠাকুর ঘরে রেখেছিলেন, তারপরেই তৈরি করানো হয় মন্দির। মন্দিরে মায়ের দুপাশে দুই সখি রয়েছে। এখনও সপ্তমীর দিন মাকে অন্য এক মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো করা হয়। এই পুজোতে বলির কথা থাকলেও কুমড়ো, ঝিঙে বলি দেওয়া হয়। মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় এখানে।
আরও পড়ুন: কাশছেন আর কফ সিরাপ খাচ্ছেন? বুকে বসা জেদি শ্লেষ্মা বের করবে বাসক পাতার রস! অব্যর্থ ওষুধ
পুজোর কটা দিন দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন এখানে। একদিকে রয়েছে গভীর জঙ্গল, আবার অন্যদিকে, কিছুটা দূরে সুবর্ণরেখা নদী। সব মিলিয়ে বর্ষার শেষে এক অপরূপ মনমোহিনী রূপ দেখা যায় এই লালগড় এলে। তার সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে পয়ে যেতে পারেন লালগড় রাজবাড়ির এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। এর পাশাপাশি কিছুটা দূরে রয়েছে জেলার সদর শহর ঝাড়গ্রাম। সেখানেও উপভোগ কার যেতে পারে পুজোর সময় প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হওয়ার।
রাজু সিং