আরও পড়ুনঃ আজ থেকে শুরু মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন, হবে ভার্চুয়াল চক্ষুদানও!
এবার অন্যান্য বারের তুলনায় সদরঘাটে দামোদরের জল অনেকটাই বেশি রয়েছে। বাসিন্দারা বললেন, ‘অন্যান্যবার জল খুব কম থাকে। চর পড়ে যায়। অনেকটা হেঁটে গিয়ে তবে তর্পণ করতে হতো। এবার একেবারে তীরের কাছেই জল। তাতে স্নান সেরে তর্পণ করতে সুবিধা হচ্ছে।
advertisement
পুরোহিতরা বলছেন, ‘এবার সদরঘাটে তর্পণকারীদের ভিড় অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিনের আলো ফুটতেই ভোর সাড়ে চারটে থেকে তর্পণ শুরু হয়েছে। অনেকেই এবার ভিড় এড়াতে গঙ্গার পরিবর্তে দামোদরে তর্পণ করার মনস্থির করেছেন। বর্ধমানের অনেকেই মগরা, ত্রিবেণী, শেওড়াফুলিতে, গঙ্গা স্নান ও তর্পণ করতে যান। সে কারণে ট্রেনে খুব ভিড় হয়। সেই ভিড় এড়াতেই এবার সদর ঘাটে এসেছেন তাঁরা।
এদিন কাটোয়া ও কালনার ভাগীরথীর তীরগুলিতে তর্পণের জন্য হাজার হাজার বাসিন্দা ভিড় করেন। তবে এবার কালনার ঘাটগুলিতে কুমিরের আতঙ্ক রয়েছে। কয়েক দিন ধরেই কাটোয়া কালনায় ভাগীরথীতে কুমিরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। একটি কুমির নদী থেকে উঠে কালনা শহরেও ঢুকে পড়েছিল। তাই, তর্পণ করতে আসা মানুষদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে বিশেষ তৎপরতা নেওয়া হয়েছে কালনার ঘাট গুলিতে।
সেখানে জাল দিয়ে নদীর একাংশ ঘিরে ফেলা হয়েছে। কুমিরের আগমন আটকাতে সেখানে জল বোমা ফাটানো হচ্ছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় খামতি না রাখা হলেও কুমির আতঙ্কের কারণে অনেকেই এবার কালনায় গঙ্গা স্নানে যাননি। বর্ধমান থেকেও অনেকে কালনা ও কাটোয়ার গঙ্গার ঘাট গুলিতে তর্পণ করতে যান। তাঁদের অধিকাংশই এবার দামোদরের তর্পণ সেড়েছেন।