সেই ফাল্গুন-চৈত্র মাস থেকে অর্ডার আসার পর চলতি বছর প্রতিমা তৈরি কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো তৈরি, বিচুলি বাঁধা এবং মাটি লাগানোর প্রাথমিক কাজ শেষ করে ফেলেছেন বেশিরভাগ শিল্পী। অনেকেই আবার জোরকদমে শুরু করেছেন পরের ধাপের কাজ। কিন্তু চলতি বছর বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বারবার সেই কাজ ধাক্কা খাচ্ছে। সেভাবে রোদ না ওঠায় প্রতিমার মাটি শুকোচ্ছে না। এদিকে টানা বৃষ্টিতে অনেক জায়গাতেই জল জমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর পঞ্চাশ দিন আগে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর উপহার! শারদৎসবের আগেই জলপাইগুড়িতে ঘরে ঘরে তিস্তার পরিশ্রুত জল
নদিয়ার ফুলিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পাল পাড়ায় এইরকমই পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে চারিদিকে জল জমে থাকায় কাজে আসছে না শ্রমিকরা। পাশাপাশি হাঁটু জল ভেঙে পুজোর আয়োজকরাও অর্ডার দিতে আসতে চাইছে না। সব মিলিয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বৃষ্টির কারণে শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমা নয়, তার আগে হতে চলা বিশ্বকর্মা মূর্তি তৈরির কাজও ধাক্কা খাচ্ছে। এই অবস্থায় কী করবেন তা নিয়ে কার্যত দিশেহারা অবস্থা। এই ঘটনায় প্রতিমা শিল্পীদের অনেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা না করায় জাতীয় সড়কের সমস্ত জল নিচের আন্ডার পাসে এসে পড়ছে। সেখান থেকে রাস্তা টপকে যাচ্ছে একটি ডোবাতে। সেই ডোবা ছাপিয়ে নোংরা জল প্রবেশ করেছে পাল পাড়ায়। এখানেই প্রায় ২০-২৫ ঘর মৃৎশিল্পীর বসবাস। এই জল পাড় হয়েই স্কুল থেকে শুরু করে হাসপাতাল সর্বত্র যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় প্রতিমা তৈরির কাজ ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি অসুখবিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও পাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।