কিন্তু এবারের দুর্গাপুজো যেন তাদের কাছে মন খারাপের পুজো। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নিম্নচাপের জেরে মাঝেমধ্যেই নেমেছে বৃষ্টি আর এই বৃষ্টির জেরে ফলন কমেছে পদ্মফুলের। সপ্তমী আসতে কয়েকদিন বাকি, তার আগেই পদ্মফুল তুলে নিচ্ছেন চাষীরা, রাখছেন হিমঘরে। কারণ আবার যদি বৃষ্টি হয় তাহলে যেটুকু ফুল হয়েছে সেটাও নষ্ট হবে। ঠান্ডা পড়লেও এই ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবারের পুজোতে ফুল চাষের খরচের টাকা উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন পদ্মফুল চাষিরা।
advertisement
তাঁরা বলছেন, ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা পুকুরের ডাক নিতে হয় চাষ করার জন্য । তার ওপর কীটনাশক দিতে খরচ হয়। আবার এই ফুল হিমঘরে রাখতেও একটা খরচা আছে। সেই খরচের টাকাও উঠবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পদ্মফুল চাষিরা। সাধারণত এক একটি পদ্ম ফুলের দশ বারো টাকা দাম মেলে। এবার ফলন কম। তাই দাম একটু বেশিই থাকবে বলে মনে করছেন চাষিরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না, খন্ডঘোষ, আউশগ্রামে অনেক পুকুরেই পুজোয় চাহিদার কথা মাথায় রেখে পদ্মফুলের চাষ হয়।
লাভ লোকসানের প্রত্যাশা না করে দীর্ঘ প্রায় তিরিশ বছর ধরে পদ্ম ফুল চাষ করে আসছেন শেখ বাবর। আগেকার বছরগুলির মতো তাঁর চাষ করা পদ্মফুলে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা। শেখ বাবর পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ড ঘোষ ব্লকের বেরুগ্রাম অঞ্চলের বৈয়াইচণ্ডী এলাকার বাসিন্দা। তিনি জানালেন, লোকজন নিয়ে চৈত্র মাস থেকে জলাশয় পরিষ্কার করে পদ্ম চাষে লেগে পড়েন। এই বছর এগারোটা পুকুরে চাষ হয়েছে পদ্ম ফুলের। কার্তিক মাস পর্যন্ত পদ্ম ফুল মেলে। তবে পুজোর সময় ছাড়া বছরের অন্য সময়ে পদ্ম ফুলের চাহিদা ও দাম কোনওটাই তেমন একটা থাকে না।