শুধু এক্স-রের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আর হাসপাতালে ছুটতে হবে না রোগীদের। এবার থেকে দুয়ারেই মিলবে হাতে গরম এক্স-রে প্লেট। এই উপলক্ষ্যে এই জেলায় আসতে চলেছে ১৪টি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন। যা বিভিন্ন ক্যাম্পে সহজেই নিয়ে যেতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাছাড়া বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও রাখা হবে এই মেশিন। এতে একবার চার্জ দিলে অন্তত ২০০টি এক্স-রে করা যাবে। এতে থাকবে এআই প্রযুক্তি। রোগীর কি সমস্যা, তা সঙ্গে সঙ্গে জেনে তাঁকে সেই মত পরামর্শ দেবেন ডাক্তাররা। ন্যাশনাল টিউবারকিউলোসিস এলিমিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন দেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও ধাপে ধাপে সব জেলাই এই মেশিন পাবে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যক্ষ্মা রোগ চিহ্নিত করার জন্যই মূলত এটি ব্যবহার করার কথা থাকলেও অন্য কোন রোগের জন্য যদি এক্স-রে প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সেটাও করা যাবে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই স্বাস্থ্য জেলার প্রান্তিক এলাকায় মূলত এই পোর্টেবল এক্স-রে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে একদিকে সুন্দরবন, অন্যদিকে নদী ঘেরা দ্বীপাঞ্চলের মানুষজন উপকৃত হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা।
জেলার মুখ্য আধিকারিকের দাবি, কিছুদিনের মধ্যেই এই মেশিন চলে আসবে। বাছাই করা কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে এই মেশিন দেওয়া হবে যাতে দূর-দূরান্তের মানুষ শহরের হাসপাতালের বদলে এখানে গিয়ে এক্স-রে করাতে পারবেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলেন, আগামী বছর মার্চের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে স্বাস্থ্যদফতর।
সুমন সাহা