হেরোইন তৈরি ও তা পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই ছ’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দু’ জন ওড়িশা, দু’ জন মণিপুর ও দু’জন এ রাজ্যের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইন ও তা তৈরির প্রক্রিয়ার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
advertisement
আরও পড়ুন : কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে রাশ টানতে সচেতনতা ও সতর্কতা ডায়মন্ড হারবারে
তদন্তে যুক্ত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মণিপুর থেকে কাঁচামাল এনে বর্ধমানে তা প্রক্রিয়াজাত করা হত। এর পর সেই সব হেরোইন পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিভিন্ন অংশে পাঠানো হত। এ ব্যাপারে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় মামলা রুজু করে আরও বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ।
আরও পড়ুন : নাকা চেকিংয়ে থামল পরপর দুটি গাড়ি, ভেতর থেকে যা উদ্ধার হল, পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
এসটিএফ সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তিন দিনের অভিযানে হেরোইন তৈরি ও তা পাচারের সঙ্গে জড়িত একটি আন্তঃরাজ্য র্যাকেটকে ধরা সম্ভব হয়েছে। মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন পশ্চিমবঙ্গের, ২ জন ওড়িশার এবং ২ জন মণিপুরের।
অভিযোগ, মাদক কারবারিরা মণিপুর থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করত। সেটি পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লী এলাকার একটি বাড়িতে প্রক্রিয়াজাত করা হত। প্রক্রিয়াজাত হেরোইন পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করা হত। অভিযান চলাকালীন মোট ১৩ কিলোগ্রাম প্রক্রিয়াজাত হেরোইন (আনুমানিক মূল্য ৬৫ কোটি টাকা), ২০ লক্ষ ১০ হাজার ১০০ টাকা, অপরিশোধিত হেরোইন এবং হেরোইন প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান, নগদ গণনা মেশিন, ওজন যন্ত্র, সিলিং মেশিন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।