গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত ব্যক্তির বাড়ি কাটোয়া শহরের মিলপাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও যে পিকআপ ভ্যানটির সাহায্যে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সেটিও গ্যারেজ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলদিয়ায় যাত্রী বোঝাই লঞ্চডুবি! আদৌ কাউকে উদ্ধার করা গেল?
কাটোয়া লাইনপাড়া এলাকার বাসিন্দা তরুণ কুমার দাস ধৃতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, তাঁর শ্যালক তপন দাস এবং তপনের বন্ধু মহম্মদ শেখ দু’জনেই ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গত ২৯ জুলাই রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁরা অফিস বন্ধ করে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, তখনই অসীম মার্জিত ইচ্ছাকৃতভাবে পিকআপ ভ্যান চালিয়ে তাঁদের বাইকে ধাক্কা দেন এবং টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত! এরপর দু’জনকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনেই রাস্তায় পড়ে ছিলেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আহতদের প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে, তারপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এবং সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রথমে ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও, পরে আহত দুই ব্যক্তি সুস্থ হলে বিস্তারিত ঘটনার কথা জানান। এরপর ৫ আগস্ট তরুণ দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই কাটোয়া-বর্ধমান রোডের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন এক গাড়িচালক। তিনি সম্ভবত ভিন রাজ্যের ছিলেন। পাশেই ছিল অসীম মার্জিতের পিকআপ ভ্যান। অভিযোগ, ওই গাড়িচালকের ঘুমের সুযোগ নিয়ে অসীম চুপিচুপি তাঁর মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও টাকা চুরি করেন।
আরও পড়ুন: দিনের আলোয় ফাঁকা বাড়িতে চুরি করেও শেষ রেহাই মিলল না! ফালাকাটায় যা হল…
পরে চালক জেগে উঠে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং অসীমের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। চুরির ঘটনায় তপন দাস ও মহম্মদ শেখ হস্তক্ষেপ করে অসীমকে জিনিসপত্র ফেরত দিতে বলেন। বাধ্য হয়ে অসীম তা ফেরত দিলেও তিনি তখনই তাঁদের হুমকি দেন ‘দেখে নেব’ বলে। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। বুধবার ধৃত অসীম মার্জিতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়।