জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ে দু’টি টিউবওয়েল থাকলেও দু’টিই কার্যত জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চারপাশে সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব। অন্যদিকে, পিএইচই প্রকল্পের ট্যাঙ্ক চার বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে শুদ্ধ পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। স্কুলের পড়ুয়ারা ঠিক মতো পানীয় জল পায় না বলে অভিযোগ।
advertisement
স্কুলের শৌচাগারের অবস্থা আরও ভয়াবহ। অভিভাবকদের অভিযোগ, শৌচাগার যেন কোনও পরিত্যক্ত ভাঙা ঘর। দুর্গন্ধে ভরা, সারাবছর ব্যবহারই হয় না। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে চাইছে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অভিভাবকরা বহুবার অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টোটন মণ্ডল জানান, ‘আমি বিষয়টি বারবার উচ্চ দফতরে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমার একার পক্ষে কিছু করার নেই’। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, সরকার যখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শিক্ষার উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে, তখন এই বিদ্যালয়ের নাজেহাল অবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তব চিত্রকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে।