TRENDING:

Dream To Become Doctor: চিকিৎসক হতে চায় জঙ্গলমহলের এই ছোট্ট মেয়ে, সিভিক ভলান্টিয়ারের মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে, পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার

Last Updated:

Dream To Become Doctor: জঙ্গলমহলের মাধ্যমিকে সফল সিভিক কন্যা চায় ডাক্তার হতে, পাশে জেলা পুলিশ সুপার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: তখন হয়ত তার সবে জন্ম হয়েছে। সেই সময়, দিনে দুপুরে শোনা যেত গুলির আওয়াজ। রাস্তায় পড়ে থাকত মৃতদেহ! ২০০৯-১০ সালের সেই ভয়াবহ দিনগুলির কথা স্মরণ করলে আজও শিউরে ওঠেন পিড়াকাটার বাসিন্দারা। তবে ধীরে ধীরে বদলেছে পরিস্থিতি। সকাল থেকে সন্ধ্যা ছেলেমেয়েরা যেতে পারছে পড়তে, খোলা থাকে বাজার। তবে সেই সন্ত্রস্ত গ্রাম থেকেও পড়াশোনা করে মাধ্যমিকের সফল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এর মেয়ে। তার ভাল ফলাফল দেখে পাশে থাকার আশ্বাস দিল জেলা পুলিশ।
লাবনীকে সাহায্য পুলিশ সুপারের
লাবনীকে সাহায্য পুলিশ সুপারের
advertisement

২০০৯ সালের সেই ভয়াবহ সময়েই পিড়াকাটা সংলগ্ন জঙ্গলঘেরা একটি গ্রামে জন্ম লাবনী’র। মাধ্যমিকে ৯২ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে প্রত্যন্ত বহড়াবনী গ্রামের সেই লাবনী মাহাতো-ই মুখ উজ্জ্বল করেছে বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ গ্রামবাসীদের। পড়াশোনাতে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিল পুলিশ। ডাক্তার হতে চায় শালবনীর সিভিক কন্যা। তার এই স্বপ্নপূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার নিজে।

advertisement

আরও পড়ুন – Pakistan and China: বিশ্বমঞ্চে চিনের মুখোশ টেনে খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানের মুখপাত্র হয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল চিন, করছিল ভারতীয় সেনার নামে কুৎসা

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী লাবনী এবার মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৪৭ নম্বর (প্রায় ৯২.৫ শতাংশ)। অঙ্কে ৯৬, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৩ নম্বর পাওয়া লাবনী ডাক্তার হতে চায়। লাবনীর বাবা কিনু মাহাত পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।  জানিয়েছেন, “আমরা লাবনীর জন্য গর্বিত। আগামীদিনে ও আরও এগিয়ে যাক। আমরা সর্বতোভাবে ওর পাশে থাকব।”

advertisement

View More

একসময়ের মাও ‘আঁতুড়ঘর’ শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের আরও বেশ কয়েকজন ‘কন্যাশ্রী’-ই এবার নজরকাড়া ফল করেছে। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে বিদিশা লাহা, ৬৭৩। তারপর যথাক্রমে- লাবনী মাহাত (৬৪৭), শ্রেয়সী পাল (৬৪২), মল্লিকা মাহাত (৬৪২), রিম্পা মাহাত (৫৯৬)-রা। ক্লাসে বরবারই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করত লাবনী। মাধ্যমিকেও সেই সাফল্য বজায় রেখেছে লাবনী।

বাবা মা ও এক বোনের সঙ্গে একচিলতে মাটির বাড়িতে কোনওমতে দিন কাটে চারজনের। সিভিক ভলেন্টিয়ারের সামান্য বেতনে চারজনের সংসার চালাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে মেয়ের জন্য আলাদা করে গৃহশিক্ষকের ব্যবস্থাও করতে পারেননি কিনু! কাজেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য ছাড়া, কোচিং সেন্টারের ব্যাচই ছিল লাবনীর ভরসা।

advertisement

লাবনীর স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া। পিড়াকাটা হাইস্কুলেই বিজ্ঞান শাখায় ভরতি হয়ে নিটের জন্য প্রস্তুতি নিতে চায় সে। স্বয়ং পুলিশ সুপারের আশ্বাস পাওয়ার পর কিনু বলেন, “আমি গর্বিত! স্যারকে অনেক ধন্যবাদ ও প্রণাম জানাই।” তবে আগামীতে ভাল ফলাফল করে বাবা-মায়ের পাশাপাশি জেলার মুখ উজ্জ্বল করুক প্রত্যন্ত গ্রামের লাবনী মাহাতো, চাইছেন সকলে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Ranjan Chanda

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Dream To Become Doctor: চিকিৎসক হতে চায় জঙ্গলমহলের এই ছোট্ট মেয়ে, সিভিক ভলান্টিয়ারের মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে, পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল